• টোটোচালকদের জুলুম, যানজটে অবরুদ্ধ কল্যাণীর বিভিন্ন সড়ক
    বর্তমান | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: কল্যাণীর রাস্তায় সন্ধ্যার পর কার্যত জনস্রোত চলছে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পথে নেমেছে টোটো। ফলে অবধারিত হয়েছে যানজট। এর মধ্যে টোটো চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া ও জোরজুলুমের অভিযোগ উঠেছে।

    পুরসভার একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে শহরে অন্তত পাঁচ হাজার টোটো চলাচল করছে। পুরসভার রেজিস্টার্ড টোটো ছাড়াও বাইরের টোটো প্রচুর পরিমাণে শহরে ঢুকছে। এছাড়াও হয়েছে অটো, ম্যাজিক এবং ভ্যানো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, টোটোর জন্যই কল্যাণী শহরে যানজট হচ্ছে। এ-ব্লক থেকে বি-ব্লকে যেতে বড়জোর ১০ মিনিট সময় লাগার কথা। সেই রাস্তা যেতে সময় লাগছে ৪০-৫০ মিনিট। যানজটে আটকে পড়ছে অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের গাড়িও। তবে পুলিসের তৎপরতায় বিগত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও যানজট পুরোপুরি কাটছে না। পুলিসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

    টোটোচালকদের বিরুদ্ধে জুলুম করে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চালকরা কেউ কেউ প্যাকেজ বানিয়ে ফেলেছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ তিন-চারটি পুজো মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য তাঁরা মাথাপিছু ভাড়া হাঁকছেন ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ এক-একটি ঠাকুর দেখানোর জন্য দিতে হবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এক কথায়, অবাধে রাজত্ব চালাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, পুরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রুটে টোটোর ভাড়া বেঁধে দেওয়া রয়েছে। সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে আকাশচুম্বী ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাঁকে টোটোতে না তুলেই চলে যাচ্ছেন চালকরা। তবে সংখ্যায় কম হলেও কয়েকজন টোটোচালক নিয়ম মেনে ভাড়া নিচ্ছেন। এ বিষয়ে আইএনটিটিইউসির এক নেতা বলেন, কোনও চালক যদি যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেন, এমন অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)