• ধর্না মঞ্চে সিনিয়ররা, জুনিয়রদের অনশন তোলার আর্জি বিশিষ্ট চিকিৎসকদের
    এই সময় | ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ষষ্ঠ দিনে পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। সাতজন চিকিৎসক ধর্মতলায় অনশন চালাচ্ছেন। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে মঞ্চে রয়েছেন অনেক সিনিয়র চিকিৎসকেরাও। বুধবার রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে আলোচনার পরেও অনশন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র ডাক্তাররা।চিকিৎসক সংগঠনের অতি প্রবীণ সদস্য তথা প্রাক্তন কর্তারা আজ অনশন মঞ্চে গিয়েছেন আমরণ অনশনকারী চিকিৎসকদের অনশন প্রত্যাহার করে মূল আন্দোলনে ফেরত আসার জন্য। সেই দলকে নেতৃত্ব দেন চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তবে, এ দিন তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘একজন বাবা হিসাবে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ জীবন বাজি রেখে অনশন আর চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তোমরা ভালো করেই জানো কী কী মেটাবলিক চেঞ্জ দেহাংশের ক্ষতি করতে পারে। তোমরা রিলে অনশন শুরু করো। আমরা সিনিয়ররা সব সময় তোমাদের সঙ্গে আছি।’ তাঁর সংযোজন, এই অমানবিক সরকারের জন্য তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নষ্ট করো না। এরা বিদ্যানদের পছন্দ করে না।

    ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ‘আমরণ’ অনশনে শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক জুনিয়রদের সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছেন। ক্রমশ জোরালো হচ্ছে চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি। যদিও, বুধবার রাতে বৈঠকের পর মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, আমাদের বিশ্বাস, আজকের আলোচনাকে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক আলোচনা হিসাবেই নেবেন ওঁরা। চিকিৎসকদের অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

    অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় ‘অভয়া পরিক্রমা’ চলাকালীন ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো থেকে কয়েকজন আন্দোলনকারী গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে লালবাজাররে সামনে হাজির হন কিছু আন্দোলনকারী। অশান্তির আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট চত্বর। গার্ডরেলে মোড়া রয়েছে গোটা এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনীও।
  • Link to this news (এই সময়)