এই সময়: কলকাতার দুর্গাপূজার আবহে আবারও আলো ছড়িয়েছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ (জিএসওই) পুরস্কার ২০২৪। এ বছর ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।জিএসওই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অর্ণব বসুর মন্তব্য, ‘জিএসওই পুরস্কার তৃণমূল স্তরের প্রতিভাকে লালন করে। পুরস্কারের ৬০ শতাংশই মূর্তি শিল্পী, থিম ডিজাইনার এবং আলো শিল্পীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে, আমরা ঐতিহ্য এবং নতুনত্বের মধ্যে ভারসাম্য রেখে দুর্গাপূজা উদযাপনের এক নতুন যুগের সূচনা করছি।’
প্রাথমিকভাবে ৩৫০টিরও বেশি জন রেজিস্ট্রার করেছেন এই শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপার জন্য। জিএসওই দল সাবধানে বিচার করে মোট ১২টি চূড়ান্ত প্রতিযোগীকে বিচারের জন্য নির্বাচন করে।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বোধিসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারকদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, ‘১২ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগী থেকে শীর্ষ ৮টি নির্বাচন করা ছিল একটি অত্যন্ত কঠিন কাজ। প্রতিটি প্যান্ডেল ছিল একটি স্বতন্ত্র জগৎ, যা আমাদের কাজকে কঠিন করে তুলেছিল।’
বিচারক প্যানেলে ছিলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সৌরসেনী মৈত্র, এবং সৌরভ দাস, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি হিসেবে ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্য থেকে ইয়ান টেলর এবং একটি চার সদস্যের ফরাসি প্রতিনিধি দল। তাদের বিশেষজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ইন্দো-জার্মান চেম্বার অফ কমার্স এবং প্রাক্তন আইএফএ চেয়ারম্যান ও জর্জ টেলিগ্রাফের এমডি।
চুলচেড়া বিশ্লেষণের পর অবশ্য সেরার সেরা থিমে প্রথম হয়েছে আহিরীটোলা সর্বজনীন ও দ্বিতীয় হাতিবাগান সর্বজনীন, সেরার সেরা শিল্প ও পরিবেশে প্রথম দমদম পার্ক তরুণ সংঘ ও দ্বিতীয় বোসপুকুর শীতলা মন্দির, সেরার সেরা প্রতিমা হিসেবে প্রথম হয়েছে দমদম পার্ক তরুণ দল ও দ্বিতীয় কাশীবোস লেন, সেরার সেরা কলকাতা বিভাগে প্রথম রাজডাঙ্গা নবোদয় সংঘ, বছরের সেরা বিস্ময় কাঁকুড়গাছি চলন্তিকা ক্লাব এবং বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে লালাবাগান নবাঙ্কুর।
তবে কেবলই কলকাতা নয়। এ বছর জিএসওই পুরস্কার কলকাতার বাইরেও তার পরিধি বাড়িয়েছে। জেলায় সেরার সেরা হয়েছে হাওড়ার মন্দিরতলা সাধারণ দুর্গোৎসব, কল্যাণীতে সেরার সেরা হয়েছে কল্যাণী এ৯ স্কোয়ার বারুইপুরের সেরার সেরা প্রগতি সংঘ।
এক হৃদয়স্পর্শী অনুষ্ঠানে সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকরা, ইয়ান টেলর এবং অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় ও অভিনেতা রাজদীপ গুপ্তরা বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এই সাংস্কৃতিক মহোৎসবের গ্র্যান্ড ফিনালে ২৭শে অক্টোবর পাথুরিয়াঘাটার ঐতিহ্যবাহী খেলাৎ ঘোষ রাজবাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে। ওই রাতে নগদ পুরস্কার বিতরণ করা হবে, যার পরিসমাপ্তি হবে একটি নৈশভোজের মধ্য দিয়ে। আয়োজকদের আশা, যা পুজোর মতোই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।