আজ মহাসপ্তমী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই চলছে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আমরণ অনশন। এই আবহে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে নানা তথ্য তুলে ধরে খড়্গহস্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এখানে সরাসরি কোনও জুনিয়র ডাক্তারদের কথা বলা আছে সেটা নয়। বরং সিনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্দেশে একাধিক পয়েন্ট তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ।
আজ, মহাসপ্তমীর দিন অন্যান্য চিকিৎসকরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টানা অনশনের জেরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন সাতজন অনশন চালাচ্ছেন। এই আবহে কুণাল ঘোষ নিশানা করেছেন যাঁরা গণইস্তফা দিয়েছিলেন সেইসব চিকিৎসকদের। ভিতরের অনেক কথা এবার তিনি বাইরে নিয়ে এলেন। যা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। ডাক্তাররা যে ধোয়া তুলসি পাতা নন সেটা তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ।
আজও ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন–বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে পুলিশের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অনশনকারীদের হাতে। বুধবার রাতে অনশন মঞ্চে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং অপর্ণা সেন। এখানে এসে অপর্ণা সেন চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। আর আজ কুণাল ঘোষ নাম না করে কয়েকজন ডাক্তারের কীর্তিকলাপ ফাঁস করে দিয়েছেন। আর তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এমনকী যাঁরা গণইস্তফা দিয়েছিলেন তাঁরা যেন ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দেন সেটা বলতে বলা হয়েছে। আর তা দিলেই যেন রাজ্য সরকার সেসব গ্রহণ করেন সেই অনুরোধও করেছেন কুণাল।
কুণাল ঘোষ এসএসকেএম হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকের উদ্দেশে স্বাস্থ্য দফতরকে এক্স হ্যান্ডেলে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর দয়া করে দেখুন। এসএসকেএমের কয়েকজন ডাক্তারের তথাকথিত গণইস্তফা প্রসঙ্গে। এক, ব্যক্তিগতভাবে নিয়মমত ইস্তফা দিতে বলা হোক। সরকার গ্রহণ করুক। দুই, এঁদের মধ্যে যাঁরা লবি করে বদলি এড়িয়ে দীর্ঘকাল এখানেই আছেন, তাঁদের অবিলম্বে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হোক। তিন, এঁদের মধ্যে যাঁরা আরএমও’দের আবাসন দীর্ঘকাল ধরে আটকে সুবিধাজনক কোয়ার্টারে থেকে যান, অবিলম্বে সেসব খালি করানো হোক। চার, এঁদের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত বিভাগে থাকেন না, ওপিডি করেন না। তাঁদের বিদায় করা হোক। শুদ্ধিকরণ হলে সর্বত্র হোক। শুরু হোক কার্ডিও থোরাসিক সার্জারি বিভাগ থেকে।’