‘অপরাধ করলে যথাযথ শাস্তি হোক’, থ্রেট কালচার নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ অক্টোবর ২০২৪
আজ মহাসপ্তমী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই চলছে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আমরণ অনশন। ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া যাচ্ছে একজন জুনিয়র ডাক্তারের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর এই আবহে একদিকে থ্রেট কালচার এবং অপরদিকে অভিযোগ থাকা চিকিৎসকই তদন্ত কমিটিতে আছেন বলে সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ।
আজ, মহাসপ্তমীর দিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন একটি ঘটনা। সেখানে উল্লেখ করেছেন থ্রেট কালচার নিয়ে। এমনকী একজন জুনিয়র ডাক্তার এই থ্রেট কালচার নিয়ে তাঁর সিনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সেই তথ্য তুলে ধরেন। এই থ্রেট কালচার নিয়েই পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সেটা একবছর আগের ঘটনা। কিন্তু পুলিশ অ্যাকশন নেয়নি। পুলিশ সৌজন্য দেখিয়ে ছিল বলে দাবি কুণাল ঘোষের। বরং ওই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় কোপ পড়েছিল সংশ্লিষ্ট জুনিয়র ডাক্তার এবং তাঁর সহকর্মীর উপর।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় এখন সেসব বেরিয়ে এসেছে। আজ, বৃহস্পতিবার এমন বিস্ফোরক দাবি করেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে একটি নথিও তুলে ধরেছেন কুণাল। যেখানে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে থ্রেট কালচারের। আর এই থ্রেট কালচার করার অভিযোগ যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রয়েছে তিনিই এখন আছেন তদন্ত কমিটিতে বলে দাবি কুণালের। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, গণইস্তফায় ওই চিকিৎসক সইও করেছেন। সুতরাং এই তদন্তের অর্থ কী? প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ।
আজও ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন–বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিও আন্দোলনকারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আরজি কর। একবছর আগে এক ডাক্তারবাবুর বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার জনিত এফআইআর করেছিল এক জুনিয়র ডাক্তার। পুলিশ সৌজন্য দেখিয়ে ব্যবস্থা নেয়নি। এখন তিলোত্তমার ভয়ঙ্কর হত্যার পরিস্থিতিতে ঘটনাচক্রে সেই ডাক্তার তদন্ত কমিটিতে। আর থ্রেট কালচারের অভিযোগে বহিষ্কার/ শাস্তির কোপে সেই জুনিয়র এবং তার সহকর্মী। এই তদন্তের মানে কী? তিলোত্তমার আবেগ সামনে রেখে যে যার ব্যক্তিগত রাগ মেটাবে? এই ডাক্তারই আবার গণইস্তফায় সই করেছেন বলে খবর। স্বাস্থ্য প্রশাসন দেখতে পাচ্ছে না? শাস্তিপ্রাপ্তদের কেস টু কেস আবার তদন্ত হোক। অপরাধ করলে যথাযথ শাস্তি হোক। কিন্তু অপবাদ দিয়ে তাড়ানোর হুজুগ সমর্থন করা যায় না। সবাই হাওয়ায় চলবে, এটা হতে পারে না।’