জারি অনশন, অবস্থান লালবাজারের সামনে, সপ্তমীর শহরে বাড়ল আন্দোলনের ঝাঁঝ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ অক্টোবর ২০২৪
আজ ষষ্ঠ দিনে পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ধর্মঘট। ইতিমধ্যে ১০০ ঘণ্টার ওপরে অনশন করে ফেলেছেন তাঁরা। সিনিয়র চিকিৎসকরা পাশে থাকার বার্তা দিয়েও অনশন বন্ধের জন্যে আবেদন জানিয়েছেন। এরই মধ্যে গতকাল আবার পুজো পরিক্রমা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন প্রতিবাদীকে। ত্রিধারা পুজো মণ্ডপের সামনে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তোলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এই প্রতিবাদীদের। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাকি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বাকি ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে পেশ করার কথা। এই আবহে লালবাজারের সামনে গতরাত থেকে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। আজ সকালেও ঘেরা রয়েছে বেনটিঙ্ক স্ট্রিট।
উল্লেখ্য, আমরণ অনশনের আবহে ষষ্ঠীর দিন বৈঠকের জন্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেই কোনও কোনও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কেঁদে ফেলেন। কেউ আবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তাই পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই বৈঠকটি। এবং বৈঠক শেষে 'ক্ষুব্ধ' জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁদের আমরণ অনশন জারি থাকবে।
বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হব জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার। তিনি বলেন, 'সরকারের এতটা অনমনীয়তা আশা করিনি। শুধুই সময় নষ্ট। বৈঠক নিষ্ফলা। কোনও সদর্থক পদক্ষেপ রাজ্য সরকার নেয়নি। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব, তাই আমরা আন্দোলনে। একটাও সদর্থক উত্তর পাব না, এমনটা ভাবিনি।' দেবাশিস আরও বলেন, 'সরকার কি এতদিন বসেছিল যে কতদিনে আমরা অনশনে বসব? নতুন কিছু বলা হয়নি। শুধু মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, কাজ হতে সময় লাগে। তা সবাই জানে। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাবে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম আমরা। ওরা বলছেন, এখনই নির্দিষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়। বৈঠকে বলা হল পুজো কাটিয়ে নেওয়া হোক। ফের আমরণ অনশন তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা বলেছি আপনারা অনশন মঞ্চে এসে অনুরোধ করুন।' এদিকে অপর এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক আশফাকউল্লা বলেন, 'স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে এনে আমাদের শুধু অপমান করা হয়েছে। মিটিং ডাকতে হয়, তাই ডেকেছেন। কোনও পরিকল্পনাই তাঁদের নেই। মিটিংয়ে যা হয়েছে, ইমেল করে দিলেও তা বুঝে যেতাম। সরকার যেন মনে রাখে, আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না। মিথ্যেকে ভয় পাই।'