১০৬ টি পুজো পেল বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান, সেরা পুজোর খেতাব জিতল কারা?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ অক্টোবর ২০২৪
প্রতিবারের মতো এবারও সেরা দুর্গাপুজোগুলিকে পুরস্কৃত করল রাজ্য সরকার। বুধবার মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৪’-এর জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতা এবং জেলা মিলিয়ে ১০৬ সেরা পুজোকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজয়ী ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেরার সেরা, সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমা, সেরা সাবেকি পুজো, সেরা পরিবেশবান্ধব, সেরা ভাবনা, বিশেষ পুরস্কার ও সেরা থিম সং এই সব ক্ষেত্রে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে জয়ীদের নাম ঘোষণা করে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
বুধবার নবান্ন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তালিকা ঘোষণা করে। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা পুরসভা ছাড়াও জেলা ও শহরতলির বিভিন্ন পুজো, যেমন-দক্ষিণ দমদম পুরসভা, বিধাননগর, হাওড়া পুরসভা, বরাহনগর পুর এলাকাগুলির একাধিক পুজো। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার সেরার সেরা পুজোর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ৩২টি পুজোকে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ত্রিধারা অকালবোধন। অন্যদিকে, টালা প্রত্যয় দ্বিতীয় স্থানে এবং সুরুচি সংঘ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়াও একাধিক পুজো কমিটিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এবার সেরা সাবেকি পুজোর তালিকায় রয়েছে ৬টি পুজো কমিটি। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে বাগবাজার সার্বজনীন। একডালিয়া এভারগ্রীন রয়েছে দ্বিতীয় স্থান এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিংহী পার্কের পুজো। সেরা মণ্ডপের তালিকায় পুরস্কার পেয়েছে পাঁচটি পুজো। যার মধ্যে সেরা মণ্ডপের শিরোপা পেয়েছে কালীঘাট মিলন সংঘ। অন্যদিকে, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সেরা প্রতিমার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে তিনটি পুজো কমিটিকে। তাতে সেরা প্রতিমা হিসেবে খেতাব জিতেছে মহম্মদ আলি পার্কের পুজো। এছাড়াও, অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন সেরা পরিবেশবান্ধব পুজোর খেতাব পেয়েছে ১৪টি কমিটি, বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ৩০টি পুজো এবং সেরা গানের জন্যও একটি পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা-সহ সংলগ্ন এলাকার পুজোগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বিশেষ সম্মান বা পুরষ্কার পেয়েছেন শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়। তিনি গানের জন্য এই বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর পুজোর গানের গীতিকার ও সুরকার ছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর দুর্গাপুজোকে আরও উৎসাহিত করতে এই পুরস্কার দেওয়া চালু হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছরেই এই পুরস্কার দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার।