পুলিশ কর্মীর টাকায় ঘটনার দিন ৩ বার মদ খায় সঞ্জয়! চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই সময় | ১১ অক্টোবর ২০২৪
৮ অগস্ট দুপুর থেকে ৯ অগস্ট ভোররাত পর্যন্ত মোট তিনবার মদ খেয়েছিল সঞ্জয়। যৌনপল্লি ছাড়াও হাসপাতালের পিছনে একটি ঠেকে বসেও মদ খায় সে। শুধু তাই নয়, এক পুলিশ কর্মীর টাকাতে এক ‘বন্ধু’-কে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপান করে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। যদিও তা হয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর অজান্তেই। সিবিআইয়ের ৪৫ পাতার চার্জশিটে সে কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে ঘটনার রাতে সঞ্জয় যে পুরোপরি মত্ত অবস্থায় ছিল, তা স্পষ্ট।আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত সোমবার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানে ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে সিবিআই উল্লেখ করেছে, ৮ অগস্ট দুপুরে সঞ্জয় আরও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার সৌরভ ভট্টাচার্যকে নিয়ে বাইকে চেপে বেরোয়। আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে সৌরভের এক আত্মীয়র চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজ নেয় তারা। সেখান থেকে পৌনে দুটো নাগাদ বেরিয়ে শোভাবাজারের এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে এএসআই অরূপ দত্তের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে গেলেও ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
সময় নষ্ট না করে সেই টাকায় দু’জনে মদ্যপান করে। এরপর সঞ্জয় হাসপাতালে ফিরে আসে। সৌরভ ফিরে যায় ব্যারাকে। ফের রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ সঞ্জয়ের ফোন পেয়ে সৌরভ হাসপাতালে আসে। সেখান থেকে বেরিয়ে ফের একসঙ্গে তারা খাবার এবং মদ খায়। এরপর বাইক নিয়ে চলে যায় চেতলার যৌনপল্লিতে। সেখানে একটি বাড়িতে ঢুকে বিয়ার কেনে। সৌরভ এক যৌনকর্মীর ঘরে ঢুকলেও সঞ্জয় বাইরে বসে মদ্যপান শুরু করে। রাত তিনটে কুড়ি নাগাদ তারা হাসপাতালে ফিরে এলেও সৌরভ ভিতরে না গিয়ে ব্যারাকে ফিরে যায়।
অন্যদিকে, সঞ্জয় একতলায় ট্রমা সেন্টারে গিয়ে এক রোগীর অপারেশনের বিষয়ে খোঁজ নিতে থাকে। তাঁর বাড়ির কাউকে না পেয়ে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় উঠে পড়ে। এরপর নেমে আসে তৃতীয় তলে চেস্ট মেডিসিন বিভাগে। ভোর চারটে তিন মিনিট নাগাদ ঢুকে পড়ে সেমিনার রুমে। সেখানে ম্যাট্রেসে শুয়ে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, এরপর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটায় অভিযুক্ত।