সপ্তমীর দুপুরে পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু শম্ভুনাথ পন্ডিতের চিকিৎসকের স্ত্রী-মেয়ের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৪
সপ্তমীর দুপুরে জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। তাতে মৃত্যু হল কলকাতার শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালের এক চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ের। আহত হয়েছেন চিকিৎসক। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি করেছে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমানের শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। কলকাতা শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের নাম ডাঃ কিশলয়বিকাশ নায়েক। ব্যক্তিগত গাড়িতে করে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো উপলক্ষ্যে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সপরিবারে শ্বশুর বাড়িতে আসছিলেন চিকিৎসক। তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। জানা যায়, বর্ধমান পুলিশ লাইন এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেই পথে আসার সময় শক্তিগড়ের কাছে দুর্গাপুরগামী লেনে হাইওয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে শক্তিগড় থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ডাঃ কিশলয়বিকাশ নায়েকের স্ত্রী রাজশ্রী নায়েককে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে রাজশ্রী নায়েকের। অন্যদিকে, চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় চিকিৎসকের ১৩ বছরের মেয়ে অদ্রিলায়া নায়েকের। পুলিশ জানিয়েছে, চালকের আসনে ছিলেন ডাঃ কিশলয়বিকাশ নায়েক। কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ডাঃ কিশলয়বিকাশ নায়েক। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনাময় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় চিকিৎসকের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে পরিবারের লোক কিছু বলতে চাননি।
তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ডাঃ কিশলয়বিকাশ নায়েক গতকাল রাতে ডিউটি সেরে বাড়ি যান। এরপর পুজো উপলক্ষে সপরিবারে আজ সকালে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্ধমানে শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন। তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আরও জানা যায়, চিকিৎসক কিশলয় নায়েক কলকাতার শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার মানিকতলা থানা এলাকার বাসিন্দা। তবে তাঁর আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার মুগরো গ্রামে।