• অনশনকারীদের দেখতে এলেন রাজ্যের চার চিকিৎসক, দু'জনকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০ দফা দাবি সামনে রেখে যে সাতজন জুনিয়র চিকিৎসক আমরণ অনশনে বসেছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্য সরকারের পাঠানো চিকিৎসক দলের চার সদস্য। তাঁদের মতে, সাতজনের মধ্যে বিশেষ করে দুই অনশনকারীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার।

    ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে যে সাতজন জুনিয়র ডাক্তার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, টানা ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। ফলত, ধীরে ধীরে তাঁদের স্বাস্থ্য ভাঙতে শুরু করেছে।

    ওই সাত অনশনকারী কেমন আছেন, তা জানতে চার চিকিৎসকের একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেছে রাজ্য সরকার। দলের সদস্যদের উপর নির্দেশ ছিল, তাঁরা যেন অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মতামত জানান।

    সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান - এসএসকেএম হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিনের চিকিৎসক নীলাদ্রি সরকার, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক অতনু বিশ্বাস, জেনারেল সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডি কে সরকার এবং কার্ডিয়োলজি বিভাগের চিকিৎসক গৌরাঙ্গ সরকার।

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা এই পদক্ষেপ সম্পর্কে কলকাতা পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি যুগ্ম কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।

    সাত অনশনকারীকে পরীক্ষা করে রাজ্য সরকারের পাঠানো ওই চার চিকিৎসক জানান, অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে এবার খুব স্বাভাবিকভাবেই অনশনকারীদের স্বাস্থ্যে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

    চিকিৎসকরা সবথেকে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনিকেত মাহাত এবং স্নিগ্ধা হাজরাকে নিয়ে। ডাক্তারবাবুরা মনে করছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই দু'জনকে অন্তত হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার। তা না হলে তাঁদের স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে পারে।

    অনশনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্য সরকার প্রেরিত চার চিকিৎসক। তাঁদের পক্ষ থেকে ডা. নীলাদ্রি সরকার জানান, অনশন শুরু হওয়ার পর চার দিন পার হয়ে গিয়েছে। ওঁদের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

    এরপরই ডাক্তার সরকার জানান, অনশনকারীদের আপাতত সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। অনিকেত মাহাত এবং স্নিগ্ধা হাজরাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সবথেকে ভালো হয়।

    সরকারি চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আশা, আন্দোলনে নামলেও অনশনকারীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন। একইসঙ্গে, তাঁদের আশা সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার নিশ্চয় দ্রুত পদক্ষেপ করবে।

    এদিকে, সপ্তমীর দিনও জুনিয়র চিকিৎসকরা যেভাবে তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে, অনেকেই তাঁদের এও অনুরোধ করেছে যে আমরণ অনশনের বদলে তাঁরা যেন প্রতিবাদের অন্য কোনও উপায় অবলম্বন করেন। সমাজমাধ্যমের দেওয়ালেও এই আবেদন করছে বহু মানুষ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)