দুর্গাপুজো মণ্ডপে স্লোগান তোলা ৯ জনের পুলিশ হেফাজত, ধৃতরা কি ডাক্তার?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৪
আজ মহাসপ্তমী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই চলছে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আমরণ অনশন। এই আবহে আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিধারা সম্মিলনীতে স্লোগান দিয়ে গ্রেফতার হওয়া ৯জনকে একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত। আর তাতে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি।
আজ, মহাসপ্তমীর দিন অন্যান্য চিকিৎসকরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টানা অনশনের জেরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘সাড়ে ৭টা নাগাদ পুলিশ বাধা দেয়। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে এফআইআর করা হয়। তখন স্বাস্থ্য ভবনে মিটিং চলছিল। সেই মিটিং ফলপ্রসূ না হওয়ার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে সকলকে।’
আজও ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন–বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে পুলিশের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অনশনকারীদের হাতে। বুধবার রাতে অনশন মঞ্চে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং অপর্ণা সেন। আর আজ মহাসপ্তমীতে পাল্টা আদালতে পুলিশ দাবি করেন, ‘ধৃতদের হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছে। এটা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওনারা করেছেন। তাঁরা জামিন পেলে অন্য পুজো মণ্ডপেও একই ধরনের ঘটনা ঘটবে।’ আর সরকারি আইনজীবীর সওয়াল, এটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নয়। একজন সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্যান্ডেলে খুব ভিড় ছিল। সেটা কি প্রতিবাদের জায়গা? আজ যদি ওখানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত তাহলে কী হতো? সর্বোচ্চ আদালত কি বলেছে ওরকম জায়গায় গিয়ে প্রতিবাদ করতে?
তবে সরকারি আইনজীবী ভরা এজলাসে জানান, যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা কেউ ডাক্তার নন। আর তখনই ধৃত ৯ জনকে ১২ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বসে পুলিশ। আর পুলিশের পক্ষ থেকেও আদালতে দাবি করা হয়, ‘তিনজন পুলিশকর্মী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিবাদ নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি কোথায় করা হচ্ছে? তাছাড়া যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ চিকিৎসক নন।’ এরপরই ধৃত ৯ জনকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত।