অনিকেত 'সংকটজনক', চিকিৎসায় আরজি করে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড
এই সময় | ১১ অক্টোবর ২০২৪
বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে। আপাতত তিনি আরজি কর হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-তে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা 'সংকটজনক' বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনিকেতের চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে হাসপাতালে। এ দিকে, অনিকেতের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতিকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্য়াসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্টের শুক্রবার (১১ অক্টোবর) কলকাতায় এসে অনশন মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার বার্তা দেশের চিকিৎসক মহলের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আইএমএ-র রাজ্য শাখার 'চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে চিকিৎসক সমাজ' (যদি কোনও অনশনকারীর কোনও ক্ষতি হয়) মন্তব্যে উদ্বিগ্ন সকলে, কারণ এর মধ্যে রয়েছে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি।অনিকেতের স্বাস্থ্য় সম্পর্কে ঠিক কী বলছেন চিকিৎসকরা?
অনিকেতের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউ ইন-চার্জ, অ্যানাসথেসিয়া বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোমা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ওঁকে অনশনমঞ্চ থেকে এখানে আনা হয়। সেই সময় ও অত্যন্ত ডিহাইড্রেটেড (শরীরে জলের অভাব) ছিলেন। পালস রেট ছিল ১২০-১২১, কথা জড়ানো ছিল, পেট ব্যথার সমস্যাও ছিল। আমরা আলট্রাসাউন্ড-সহ একাধিক পরীক্ষা করেছি। শরীরে জল কমে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। অনিকেতের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। মূত্রে কিটোন পাওয়া গিয়েছে। ওঁর শরীরের কোষের কোনও জায়গায় জল যাচ্ছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'অনিকেতের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আগেই ছিল। এর জন্য ওর সমস্যা আরও বেশি হতে পারে।’
ইতিমধ্যেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে অনিকেতের। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনও ‘স্থিতিশীল’ (স্টেবল) নয়, বলেই জানান সোমা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত ওর চিকিৎসা শুরু করি। কিন্তু ওঁর যা ক্ষতি হয়েছে, তাতে সুস্থ হতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে।’
অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার জন্য যে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে তার দায়িত্বে রয়েছেন আরজি করের অ্যানাসথেসিয়া বিভাগের প্রধান সোমা মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়াও মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন কার্ডিওলডি বিভাগের প্রধান বিশ্বজিৎ মজুমদার, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চিকিৎসক সুজয় রায় এবং নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক কানাইলাল কর্মকার।