• গভীর রাতে অবস্থার অবনতি, অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেতকে ভরতি করা হল হাসপাতালে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • অনশনকারী ৭ জুনিয়র চিকিৎসকের মধ্যে অন্যতম হলেন অনিকেত মাহতো। সেই অনিকেতের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর সামনে আসছিল গতকাল সকাল থেকেই। আর গতকাল গভীর রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটায় হাসপাতালে ভরতি করা হল তাঁকে। জানা গিয়েছে, ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত বাকি চিকিৎসকরা অনিকেতের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেন। এই আবহে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে গভীর রাতে অ্যাম্বুলেন্স আসে। সেখান থেকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনিকেতকে। তাঁকে আইসিউতে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    অনিকেতের অবস্থা নিয়ে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার আশফাকউল্লাহ নাইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, উপযুক্ত সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই প্রাণনাশ হয়নি। তবে এখনও অনিকেতের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অনিকেতের শরীরে আইভি ফ্লুইড চালানো হয়েছে। রক্তের নমুনার একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর মূত্রে কিটোন বডি পাওয়া গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, আজ সপ্তম দিনে পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ধর্মঘট। ইতিমধ্যে ১২০ ঘণ্টার ওপরে অনশন করে ফেলেছেন তাঁরা। সিনিয়র চিকিৎসকরা পাশে থাকার বার্তা দিয়েও অনশন বন্ধের জন্যে আবেদন জানিয়েছেন। এরই মধ্যে গতকালও পুজো পরিক্রমা ঘিরে ধুন্ধুমার হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছে।

    উল্লেখ্য, আমরণ অনশনের আবহে ষষ্ঠীর দিন বৈঠকের জন্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেই কোনও কোনও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কেঁদে ফেলেন। কেউ আবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তাই পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই বৈঠকটি। এবং বৈঠক শেষে 'ক্ষুব্ধ' জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁদের আমরণ অনশন জারি থাকবে। সেই মতো অনশন চললেও অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আর এরই মধ্যে অনিকেতকে হাসপাতালে ভরতি করতে হল। 

    প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। উল্লেখ্য, হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা থেকে স্বাস্থ্যচিবের অপসারণ সহ মোট ১০ দফা দাবিতে এই দফায় আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দরা। এরপর সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন তাঁরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)