ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়ের নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ভাঙ্গড় বাজার থেকে এক অপরিচিত ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য পুলিস। তারপর পুলিস তাকে হাসপাতালে রেখে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি হাসপাতালের ভিতর থেকে বাইরে চলে আসে অসুস্থ অবস্থায়।
এরপর হাসপাতালের সামনে ওই ব্যক্তি দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে বলে অভিযোগে স্থানীয়দের। এরপর সন্ধ্যা ছয়টার সময় স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে নলমুড়ি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটের সামনে থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য, তারপর রাত নটা নাগাদ ওই ব্যক্তি মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসাকরা। মূলত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই ব্যক্তি কীটনাশক খেয়ে মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই ব্যক্তি, ভাঙ্গড় বাজার থেকে তারপর পুলিস উদ্ধার করে নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য।
অন্যদিকে অমানবিক ছবি দেখা গেল নলমুড়ি হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ফেলে রেখেছে হাসপাতালের মেঝেতে ইমারজেন্সি গেটের সামনে। আর তার পাশেই বসে আছে ভাঙ্গড় থানার পুলিস।
তবে এ বিষয়ে নলমুড়ি হাসপাতালের BMOH ফোনে জানিয়েছে যে আমরা ওই ব্যক্তিকে নড়মুড়ি হাসপাতাল থেকে রেফার করেছিলাম কিন্তু ওই অপরিচিত ব্যক্তিকে কলকাতায় হাসপাতালে নিয়ে যাবে কে তাই ভাঙ্গড় থানার ওসিকে এবং পুলিসকে বারবার ফোন করে জানিয়েছি এই বিষয়টি কিন্তু পুলিস কোন গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
অন্যদিকে পুলিসের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মৃত ওই ব্যক্তির নাম সোমনাথ বিজলী, বাড়ি ভাঙ্গড় দু নম্বর ব্লকের চিলেতলা বিজলী পাড়া এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য।