কলকাতার বুকে ট্রামের ১৫০ বছরের যাত্রা প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। কিন্তু ট্রামে চড়ার সেই পুরনো স্মৃতি, সেগুলো তো হঠাৎ করে মুছে যেতে পারে না। ফেলে আসা মুহূর্তগুলোর সঙ্গী হতে তাই এ বছর যেতে হবে চেতলা প্রসন্নময়ী ঘাট দুর্গা পুজোয়।
প্রায় ৯৮ বছরের এই পুজোর এ বছরের ভাবনা ‘শ্রয়ণ’ অর্থাৎ শান্তির আশ্রয়। সনাতনী প্রতিমার সঙ্গে থিমের ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করেছেন শিল্পী সৌম্যজিৎ দাস এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। কিন্তু কেন এই পরিকল্পনা?
এই বিষয়ে সৌম্যজিৎ বলেন, “আমরা পুরনো দিনে ফিরে যেতে পছন্দ করি। পুরনো ব্যবহারের জিনিস, পুরনো রেডিও, এই ছোট ছোট নস্টালজিয়াগুলো ফিরে ফিরে আসে। সে রকমই কিছু জিনিস যা এখনো পুরোপুরি মুছে যায়নি, তাদের ফিরিয়ে আনা গেলে তা মানুষের মনে অন্য ভাবে দাগ ফেলবে। এই ভাবনা থেকেই সর্বপ্রথম মাথায় আসে ট্রামের কথা।”
চেতলার এই পুজোর ট্রাম কিন্তু রাস্তায় নেই। আছে রাস্তা থেকে ১৪ ফুট উপরে ঝুলন্ত অবস্থায়, যা দেখা যাবে চেতলা ব্রিজ থেকেও।
কিন্তু ঝুলন্ত ট্রাম কেন?
সৌম্যজিতের কথায়, "এই ট্রামটি একটি পুরনো গ্রামোফোনের মাঝখান থেকে ভাসমান লাইনে বেরিয়ে কলকাতার দিকে রওনা দিয়েছে। বেশ কিছু পুরনো গান, ঐতিহ্য, টিকিট কাউন্টার– এ রকম কিছু নস্টালজিক আবেগ নিয়ে এই স্বপ্নের ট্রাম বেরিয়ে পড়েছে, যা পুরনো স্মৃতিগুলোকে আবারও পৌঁছে দেবে কলকাতায়।"
কী ভাবে যাবেন?
কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে নেমে অটোয় অথবা পায়ে হেঁটে চেতলা ব্রিজ। ব্রিজ থেকে নেমে ডান দিকে ঘুরলেই চেতলা প্রসন্নময়ী ঘাটের পুজো।