প্রতিবেশী এবং পুলিস সূত্রে খবর, রাত বারোটার পর বাড়ি ফেরা নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মেয়ে তুহিনা রায়ের। শাসন করতে গিয়ে মেয়েকে থাপ্পড়ও মারেন। এরপরই আচমকা মায়ের মাথায় বটি দিয়ে আঘাত করে মেয়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় মা রীনা রায়কে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে ভোর রাতে ঘরেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়ে তুহিনা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাবার বকুনি ও মার খাওয়ার পর রহস্যজনকেভাবে নিখোঁজ ১০ বছরের নাবালিকা। নিউটাউন থানার পুলিস সব দিক খতিয়ে দেখার পরেও খোঁজ পাওয়া যাইনি ওই নাবালিকার। পুলিস এর তরফ থেকে বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজের পোস্টারও মারা হয়। খুঁজে দিতে পারলে নিউটাউন থানার পুলিসের তরফ থেকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানানো হয়।
নাবালিকার বাবা হারান কাহার এর দাবি, সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ ১০ বছরের নাবালিকা মন্দিরা কাহার তাঁর কাছে বকা খায় এবং তিনি কয়েকটি চর ও মারে। তারপর থেকে মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। যদিও পরিবারের তরফ থেকে ১লা অক্টোবর বিকেলে নিউটাউন থানায় জানানো হলে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করে।