• কলকাতা বেসরকারি হাসপাতালের নন এমার্জেন্সি পরিষেবা থেকে সরছেন চিকিৎসকরা,প্রতিবাদ!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • এতদিন মূলত চিকিৎসকদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়ছিল সরকারি হাসপাতালগুলিতে। এবার ফর্টিসের মতো বড় বেসরকারি চিকিৎসকরা নন এমার্জেন্সি ডিউটি থেকে সরে আসছেন। কার্যত আংশিক কর্মবিরতি। কলকাতার আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসকরা একযোগে একটা চিঠি পাঠিয়েছেন ফর্টিস হাসপাতালের ফেসিলিটি ডিরেক্টরের কাছে।  সেখানে লেখা হয়েছে,আমরা ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১২ অক্টোবর থেকে সমস্ত নন এমার্জিন্সি সার্ভিস আমরা করব না। জুনিয়র ডাক্তাররা যে আন্দোলন করছেন তার সঙ্গে আমরা একমত। তাদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

    তবে সেই সঙ্গেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমরা এমার্জেন্সি সার্ভিস চালিয়ে যাব। 

    কলকাতার আরও একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন। আংশিক কর্মবিরতিতে নামছেন তাঁরা। 

    কার্যত পুজোর মধ্যে গোটা বাংলায় উৎসবের আমেজ। তার মধ্যেই অনশন। আর অনশনের জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও মনের জোর অটুট।  

    এদিকে একদিকে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে পুলিশ। একদিকে ত্রিধারাতে স্লোগানকাণ্ডে জামিন পেলেন প্রতিবাদকারীরা। ৯জনই জামিন পেয়েছেন। এমনকী আদালতের তরফে বলা হয়েছে কাউকে বিরক্ত করা এদের উদ্দেশ্য ছিল না। 

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার প্রত্যেকের ১ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন। আরও নির্দেশ, ধৃতদের প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দিতে হবে। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ জনের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। তবে এর মধ্যে তারা আর কোনও পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না।

    'মানুষকে বিরক্ত করা উদ্দেশ্য ছিল না' জানিয়েছে আদালত।

    অন্যদিকে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বাড়িতে ফোন করে অনশন তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সিনিয়র চিকিৎসকরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ।  

    এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, অসভ্যতার একটা সীমা থাকা দরকার। কোন সমাজে বাস করছি। আমরা বলছি সবাই বেরিয়ে আসুন। আমরা সিনিয়ররা আরও এগিয়ে আসব। বলা হচ্ছে অনশন তুলে নিন। মিথ্যে মামলাতে ফাঁসিয়ে দেব। মাটিগাড়া থানা থেকে ফোন যাচ্ছে। বলছে অনশন তুলে নিতে বলুন। নাগরিক সমাজকে বলছি আপনারা এগিয়ে আসুন। আপনারা এর প্রতিবাদ করুন। তবে জুনিয়রদের মনের জোর প্রবল। আমরা সিনিয়ররাও এর প্রতিবাদ করছি। আমরা গর্জে উঠব।

    কার্যত সরকার যত চাইছে অনশন থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে জুনিয়র চিকিৎসকদের ততই দেখা যাচ্ছে আরও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। এমনকী আইএমএর সর্বভারতীয় প্রতিনিধিরাও এদিন অনশনমঞ্চে আসেন। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)