ধৃতদের এক হাজার টাকা বন্ডে জামিন দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বহাল থাকছে। ততদিন ধৃতদের প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দিতে হবে। ধৃতেরা আর কোনও পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না। এদিন ওই মামলার রায়ে আরও বলা হয় কোনও মণ্ডপের দুশো মিটারের মধ্য়ে কোনও স্লোগান দেওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারের কার্নিভ্যালের কোনও গোলমাল পাকানো যাবে না।
এদিকে, ত্রিধারা কাণ্ডে জামিনের খবর পাওয়ার পরই ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চে হইচই শুরু হয়ে যায়। এই জামিনকে পুলিসের কিছুটা ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ গতকাল আলিপুর কোর্টে পুলিসি হেফাজতের আবেদন করে পুলিস। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পর আজ হাইকোর্টের বিচারপতি সম্পা সরকারের এজালাসে ওই ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করা হল। রাজ্য় সরকারের সওয়াল ধোপে টিকল না।
ওই জামিন নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিত্সক দেবাশিস হালদার বলেন, আমরা মনে করি এরা আলাদা কেউ নয়। ওইসব কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে জাস্টিস ফর আরজি কর বলতে গিয়ে জেলে চলে যাচ্ছে। আমরা মনে করি ওরা আমাদের সহযোদ্ধা।
কী হয়েছিল বুধবার? দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো ত্রিধারা সম্মিলনী। এই পুজোর উদ্যোক্তা তৃণমূল বিধায়ক, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। বুধবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সেই ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো মণ্ডপে ঢুকে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাতে ছিল পোস্টার। তারপর? অভিযোগ, ওই যুবকদের দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিস। শুরু হয় বচসা। শেষে ৯ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।