একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ‘গণইস্তফা’-র পর শহরের অন্তত পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতাল নন-ইমার্জেন্সি পরিষেবা বন্ধ করার পথে হাঁটতে শুরু করল। কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল। অনশনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আগামী সোমবার, মঙ্গলবার নন-ইমার্জেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে সিকে বিড়লা হাসপাতাল গোষ্ঠীর (সিএমআরআই, বিএমবিড়লা) চিকিৎসকদের একাংশ।একই দাবি সামনে রেখে ১৪ তারিখ, সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য পরিষেবা বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন মণিপাল ব্রডওয়ের (পূর্বতন সল্টলেক আমরি) ডাক্তাররা। সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের পর এ বার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটা অংশ এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোয় আগামিদিনে সামগ্রিক ভাবে শহরের চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হবে বলেই মনে করছে রোগীদের একটা বড় অংশ।
বৃহস্পতিবার থেকেই আংশিক কর্মবিরতি শুরু করেছেন আরএন টেগোর হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। জরুরি বিভাগ বাদে অন্যান্য বিভাগে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা। জরুরি অস্ত্রোপচার ও ক্যাথল্যাব যদিও চালু রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাপোলোর চিকিৎসকরাই প্রথম এই পথে হাঁটতে শুরু করেন।
সরকারি হাসপাতালে পুজোর সময়ে পরিষেবা কিঞ্চিৎ দুর্বল হয়। তারপর বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কিছুটা আতঙ্কে ভুগছেন বহু রোগীর পরিজন। সরকারি হাসপাতালগুলিতে অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৮ জন চিকিৎসক ১০ দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন। ইতিমধ্যেই সেখানে অনশনকারী অনিকেত মাহাতো অসুস্থ। আরও কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার খানিক অবনতি হয়েছে।
সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, অনশন তুলতে সরকার কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না। তারই প্রতিবাদে জানিয়ে ‘গণইস্তফা’ এবং বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই পথে হাঁটতে শুরু করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে শুক্রবার রাতে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স-এর তরফে তাঁদের বিভিন্ন দাবির কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার যে ইমেল পাঠানো হয়েছিল, তারই প্রত্য়ুত্তর হিসাবে পাঠানো এ দিনের ইমেলে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।