মাস দুই আগে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে সীমানা পাঁচিল টপকে এক যুবক ঢুকে পড়ে ওই কলেজের লেডিজ হোস্টেলে। সে সময় অভিযুক্ত যুবক ধরা না পড়লেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিস প্রশাসন ওই হোস্টেলের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর আশ্বাস দেয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আজ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এক যুবক প্রথমে নিজেকে আবাসিক পড়ুয়ার অভিভাবক হিসাবে দাবি করে একাধিকবার হোস্টেলে ঢোকার চেষ্টা করে। হোস্টেলের গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষী যুবককে প্রবেশে বাধা দেয়। পরে ওই নিরাপত্তারক্ষীর চোখ এড়িয়ে হোস্টেলের মেইন গেট দিয়ে সটান যুবক হাজির হয় হোস্টেলের ওল্ড বিল্ডিং এর দোতলার একটি শৌচালয়ে। পরে এক আবাসিক চিকিৎসক পড়ুয়া শৌচালয়ে গেলে ওই যুবককে শৌচালয়ে লুকিয়ে হস্তমৈথুন করতে দেখেন বলে অভিযোগ। আতঙ্কে ওই আবাসিক পড়ুয়া ছুটে শৌচালয় থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করতে শুরু করলে অন্যান্য আবাসিকরা শৌচালয়ের সামনে ছুটে আসেন। এরপরই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ওই যুবক শৌচালয়ের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়।
পুলিসে খবর দেওয়া হলে পুলিস হোস্টেলের ওই শৌচালয় থেকে অভিযুক্তকে আটক করে। ঘটনার খবর পেয়ে লেডিজ হোস্টেলে ছুটে যান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু। বারংবার নিরাপত্তা জোরদার করার আশ্বাস দেওয়া সত্বেও নিরাপত্তার এই গাফিলাতিতে অধ্যক্ষকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাসিক পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি নিরাপত্তার এই চূড়ান্ত গাফিলাতির কারণে আজ দ্বিতীয় তিলোত্তমা কান্ড ঘটতে পারত লেডিজ হোস্টেলে। হোস্টেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর দাবি দীর্ঘক্ষণ ডিউটি করার মাঝে তিনি অল্প সময়ের জন্য শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। তার ফাঁকেই ওই যুবক হোস্টেলে ঢুকে পড়েছিল। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু লেডিজ হোস্টেলে নিরাপত্তার ফাঁক ফোঁকরের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি প্রয়োজন মোতাবেক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ না হওয়াতেই সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।