স্বামীর মৃত্যুর পর পুরুলিয়ার ঝালদার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন পূর্ণিমা কান্দু। প্রতিবেশীদের দাবি, শুক্রবার সন্ধেয় পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন পূর্ণিমার ছেলেমেয়ে। ঝালদা স্টেশন রোডের বাড়িতেই ছিলেন পূর্ণিমা। ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফিরে দেখেন পূর্ণিমা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা ১ নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো-সহ দলের নেতারা। দেহটি আজ ময়না তদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হবে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, সন্ধে পর্যন্ত ভালোই ছিল। ওর ছেলেমেয়েরা বাইরে বেড়াতে গিয়েছিল। ওরা আসার পর দেখছে মারা গিয়েছে। কীভাবে মারা গিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। খুব কম সময়ের মধ্যে হয়েছে। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আসার কারণের পোস্ট মর্টেম করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তারবাবু। পোস্ট মর্টেম হওয়ার পর বোঝা যাবে। মারা যাওয়ার পরে আনার জন্য কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ ঝালদার গোকুলনগরে আততায়ীর হাতে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয় তপনের ভাইয়ের ছেলে দীপক কান্দুকে। ওই ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিসের একটি বিশেষ টিম। ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে গ্রেফতার করা হয় কলেবর সিং নামে একজনকে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় দীপকের বাবা নরেন কান্দু ও ঝালদার বাসিন্দা মহমম্দ আসিককে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় সুপারি কিলার জাবির আনসারি ও শশীভূষণ সিংকে।