এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইস্তফা একটি ব্যক্তিগত বিষয়। নিয়োগকর্তাকে তা কারণ উল্লেখ করে দিতে হয় ব্যক্তিগতভাবে। তা না হলে তা গ্রাহ্য হয় না। ফলে যে গণইস্তফা চিকিত্সকরা দিয়েছেন তা সরকার গ্রহণ করছে না।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজের ডাক্তার দের পদত্যাগ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আরজি কর থেকে গণদরখাস্ত পাঠান সিনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ততেও মাস রেজিগনেশনের উল্লেখ আছে। রাজ্য সরকারি এটা জানাতে চায় পদত্যাগ সার্ভিস রুল অনুসারে একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যক্তিগত ভাবে না এলে সেটা গ্রাহ্য নয়। আরজি কর এবং অন্যান্য হাসপাতাল মিলিয়ে একাধিক গণইস্তফার চিঠিতে এখনও পর্যন্ত দুশোর কাছাকাছি সই জমা পড়েছে বলেও সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন আলাপন।
উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সংহতি জানাতে গত ৮ অক্টোবর গণইস্তফা দেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা। ১০ দফা দাবিতে তিনদিন ধরে ধর্মতলায় অনশনে জুনিয়াররা। কিন্তু অভিযোগ সরকারের তরফে কোনওরকম সাড়া মেলেনি। তাই ওই ইস্তফা। সিনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তাদের জুনিয়রদের শরীর খারাপ হচ্ছে দিনের পর দিন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তবে গণইস্তফা দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু এখনই হাসপাতাল ছেড়ে বা পরিষেবা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না চিকিত্সকেরা। তাদের দাবি, তাঁরা ইস্তফা দিয়েছে কিন্তু সেটা সরকার মানবেন কিনা সেটা সরকারের বিষয়। তবে তাঁরা জানান, চাকরি নয়, ডিউটি থেকে গণ ইস্তফা দিচ্ছেন। তবে ইস্তফা গ্রহণ না করা পর্যন্ত কাজ করবেন তারা। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন। ইস্তফা দেন বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান, হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র চিকিৎসকরা।