গণ ইস্তফা পদত্যাগ হিসেবে গৃহীত নয়, ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার
এই সময় | ১২ অক্টোবর ২০২৪
‘গণ ইস্তফা’ সরকারের কাছে গ্রাহ্য নয় বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের গণ ইস্তফা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে তিনি এই কথা জানান। আলাপনের দাবি, নিয়ম মাফিক কোনও পদত্যাগ পত্র দেওয়া হয়নি।শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যে সব হাসপাতাল থেকে এই ধরনের ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘গণ ইস্তফা’-র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। না হলে সেই পদত্যাগপত্র গ্রাহ্য নয়।’ তিনি জানান, এই ‘গণ ইস্তফা’ গ্রাহ্য পদত্যাগ হিসেবে গৃহীত হয়নি। এই ব্যাপারে সরকার বিভ্রান্তি দূর করতে চায়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে এগুলি জমা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদেরকে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক হাসপাতালে গণ ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে আরজি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণ ইস্তফা’ দেন। এরপর ধীরে ধীরে কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলাগুলিতেও সরকারি হাসপাতালে গণ ইস্তফা দেওয়া শুরু হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও গত বুধবার ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দিয়েছেন।
একের পর এক হাসপাতালে গণ ইস্তফা দেওয়া শুরু হতেই বিভ্রান্তি ছড়াতে শুরু করে। গণ ইস্তফার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বৈঠক করেন। বৈঠকের পর জানানো হয়, সরকারের কাছে ইস্তফা সংক্রান্ত কোনও কিছু পৌঁছয়নি। নিয়ম মাফিক কোনও সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দেননি বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা-সহ মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতায় প্রথমে ছয়জন এবং পরে আরও তিনজন অনশন শুরু করেন। উত্তরবঙ্গে অনশন করছেন ২ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে কলকাতায় অনশনরত চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো এবং উত্তরবঙ্গের চিকিৎসক অলোক কুমার ভার্মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।