• ‘‌সৃষ্টির স্থিতি বিনাশানং শক্তিভূতে সনাতনী....‌’‌ আরতি করতে গিয়ে কাঁদলেন কল্যাণ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • মহাষ্টমীর অঞ্জলি এবার ভোরবেলায় পড়েছিল। তার পর সন্ধিপুজো। সেই সন্ধিপুজোয় আরতি করতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই সন্ধিপুজো এবং আরতি আগেও তাঁকে করতে দেখা গিয়েছিল। তবে এবার দুর্গাপুজোয় একটু অন্য ভাবে দেখা গেল বিশিষ্ট আইনজীবীকে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তিনি। নয়াদিল্লির সংসদ ভবনে যাঁকে প্রবল প্রতাপের সঙ্গে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়, যাঁকে আদালতে কড়া সওয়াল করতে দেখা যায় সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর আরতির পর হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গেল।

    শ্রীরামপুরের একটি দুর্গাপুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি পুজোপাঠ প্রত্যেক বছরই করেন। আগেও পুজো করার সময় কাঁদতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে এবারের কান্নার ব্যাপ্তি ছিল অনেক বেশি। দুর্গাপুজোর আরতি করার সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রোচ্চারণ করছিলেন। তখনই তিনি বলেন, ‘‌শরণাগত দিনার্ত পরিত্রায়ণ পরায়নে সর্বস্বার্থে হরে দেবী নারায়ণী নমস্তুতে।’‌ এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতেই দেখা যায় হাউ হাউ করে কাঁদছেন দাপুটে সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০৮টি পদ্ম আর প্রদীপ সাজিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা যখন চলছে তখন চোখের জলে ভাসালেন কল্যাণ।


    তিথি অনুযায়ী এবার ভোরবেলাতেই মণ্ডপে মণ্ডপে মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলী চলতে শুরু করে। আবার সকালেই সময় অনুযায়ী সন্ধিপুজোও শেষ। দুর্গাপুজো কমিটিগুলির পক্ষ থেকে মাইকে স্তোত্রপাঠ শুনে অনেকের ঘুম ভাঙে। আবার অনেকে সেজেগুজে ওই সময়ের মধ্যেই মায়ের কাছে অঞ্জলি দিয়েছেন। নানা জায়গায় কুমারী পুজো হয়েছে। দুর্গাপুজো এবার শেষের মুখে। কারণ আজ শনিবার নবমী। পঞ্জিকা মতে, আজ আবার দশমীও। গুপ্ত প্রেস এবং বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত দুটি পঞ্জিকার দু’‌রকম মত। একজনের ক্ষেত্রে আজ নবমী। আর একজনের ক্ষেত্রে অষ্টমী–নবমী একইদিনে পড়েছে। তাই আজ দশমী। তবে এসবে বাংলার মানুষ কোনও তোয়াক্কা করছেন না। আজকের দিনটি নবমী বলে মনে নিয়ে মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়।

    কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাঁদছেন। ‘‌সৃষ্টির স্থিতি বিনাশানং শক্তিভূতে সনাতনী গুনাশ্রয়ে গুনময়ে নারায়ণী নমস্তুতে’‌ মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন। বললেন, ‘‌মা মাগো রক্ষা করো।’‌ আর এখান থেকেই নয়া ক্লাইম্যাক্সের জন্ম। কেন কাঁদলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ?‌ এই প্রশ্নের জবাব তিনি অবশ্য দেননি। তবে তাঁর অনগামীদের বক্তব্য, ‘‌মায়ের পুজো খুব ভক্তিভরে করেন দাদা। সেই ভক্তির যে বহিঃপ্রকাশ সেটাই চোখের জল হয়ে বেরিয়ে আসে।’‌ তবে বিরোধীদের মত, এখন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন রাজ্য সরকারকে বেশ চাপে ফেলেছে। তাই সেখান থেকে উদ্ধার করতেই মায়ের কাছে চোখের জল ফেলে কল্যাণের প্রার্থনা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)