• হোটেলের কনফারেন্স হল বুকিং করেও বাতিল, তেতে উঠল বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সামিল হয়ে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণইস্তফা’ দিয়েছিলেন। এবার পাল্টা চাপ বাড়াল রাজ্য সরকার। আজ শনিবার ‘গণইস্তফা’ রাজ্য সরকারের কাছে কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হল। এই আবহে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা একটি হোটেলের কনফারেন্স হল বুকিং করতে গেলে তা বাতিল হয়ে যায়। আর তাতে কলকাতা পুলিশের হাত আছে বলে অভিযোগ ওই ডাক্তারদের। আর এই ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। আজ, মহানবমীর আবহে এটাই এখন বড় খবর।

    বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বুকিং করা কনফারেন্স হল শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শহরের একটি হোটেলের বিরুদ্ধে। চিকিৎসকরা যখন টাকা মেটাতে যান তখন তাঁদের হোটেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশের নিষেধ রয়েছে বলে বুকিং বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠছে। আজ জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পেন ডাউনের ঘোষণা করতে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাই ধর্মতলায় হোটেল বুক করেন তাঁরা। তবে শেষ মুহূর্তে সেই বুকিং বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ। অবশেষে প্রতিবাদে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে সাংবাদিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।


    ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। সেটা যে সিনিয়র চিকিৎসকদের কাছে বাড়তি চাপ সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে। তার উপর হোটেলের হল বুক করেও বাতিল হয়ে যাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ যশ বলেন, ‘‌জুনিয়র ডাক্তাররা অভয়ার বিচার এবং ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন। ওনাদের সমর্থনে আমাদের প্রাইভেট হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটা নন ইমারজেন্সি সিজ ওয়ার্কের প্ল্যান করেছি। তা নিয়েই আজকে প্রেস মিট আছে। এই প্রেস মিট করার জন্য ধর্মতলার হোটেলে কনফারেন্স হল বুক করি। কিন্তু যখন বুকিং ফিজটা জমা দিতে যাই, তখন ওদের ম্যানেজমেন্টের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এসে আমাদের বলেন, ভেরি সরি। আমরা এই বিষয়ে হেল্প করতে পারব না। আমরা কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই প্রেস মিট ওনাদের হোটেলে করা যাবে না বলে জানায়।’‌

    আবার চিকিৎসক সংগঠন ‘‌ফেমা’‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘‌কোনও শক্তি সেই আন্দোলনকে থামাতে পারবে না। আপনি সেই পদক্ষেপ নিতে আমাদের বাধ্য করছেন। যে আগুন জ্বলবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়েও নেভানো যাবে না। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনেক আলোচনা হয়েছে। কাল ওপেন ফোরামে আলোচনায় বসতে চাই। চাই লাইভ স্ট্রিমিংও। সরকারকে সমাধানের পথ বের করে দিতে চাই।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)