মুখোশ খুলে প্রকাশ্যে। ডাক্তারদের সমাবেশে সিপিএমের জমায়েতে অডিওবার্তা। সত্যতা যাচাই সম্ভব হয়নি। সূত্রে পাওয়া। তবে উত্তর কলকাতার এক কমরেড বিস্তারিত বলতে পারবেন। বানতলার ডাঃ অনিতা দেওয়ান, কোচবিহারের বর্ণালী দত্তর ধর্ষণ, খুনের ধারক বাহকদের নাটক। লিখেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
‘আজ বিকেল ৫টায় ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এক মহা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সবাই সর্বস্তরে মানুষকে আহ্বান করেছেন চিকিৎসকরা। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই সমাবেশকে সমর্থন করা হয়েছে। এই সমাবেশে আমাদের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের এখন বুকস্টল চলছে। সেই জন্য বুকস্টল চালাতে হবে একদিকে তেমনি ব্যপকভাবে জমায়েত করতে হবে। আপনারা যারা যারা বুকস্টলে থাকবেন তারা তারা বুকস্টলে থাকুন, যারা বুকস্টলে থাকবেন না তারা…ধর্মতলায় মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। যেখানে যত পরিচিত মানুষ আছেন সেই সমাবেশে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন।’ তেমনি একটি অডিও বার্তা পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ।
সেখানে শোনা যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের আয়োজিত সমাবেশে থাকার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে। তবে এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে এই অডিয়ো বার্তার মাধ্যমে দুটি বিষয় অন্তত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটা হল জুনিয়র ডাক্তারদের পেছনে রাজনৈতিক মদত নেই এটার সত্যতা কতটা রয়েছে? অন্যদিকে সিপিএম কি তবে তাদের দলের অন্দরে জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন করার ব্যাপারে প্রচার করছে?
অন্যদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। তবে কি সেই আন্দোলনের তীব্রতা দেখে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? সেকারণেই অত্যন্ত কৌশলে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পেছনে সিপিএম আছে এটা প্রমাণ করে দিয়ে আখেরে গোটা আন্দোলনটাকে ভেঙে ফেলার একটা চক্রান্ত করছে তৃণমূল?
এর আগে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ধর্মতলার সমাবেশে কিছু মানুষ আসছেন এটা বলার পরিবর্তে কিছু সংগঠিত বাম, উগ্র বাম সমর্থক আসছেন বলুন। নিরপেক্ষ সাজাচ্ছেন কেন? রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে বলা হোক।
এর আগে কুণাল লিখেছিলেন, ‘সিপিআইএমের নাটকবাজি দেখার অনিচ্ছায় আগেই ধর্মতলা থেকে আরজি করে চলে গিয়েছিল এসইউসির অনিকেত। একদিন পরে অনশনে এসে সকলের আগে অসুস্থ হওয়ার পরিস্থিতি ওঁর ছিল না।’ প্রসঙ্গত অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনিকেত। তারপরই এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।