• ভোজ্য‌ তেলের খুচরো দাম বাড়ল অস্বাভাবিক, দুর্গাপুজোর মরশুমে নাভিশ্বাস গৃহস্থের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস রফতানি করার উপর নিয়ন্ত্রণ করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু তা মিটতেই সেই নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হয়েছে। আর তাই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ উঠে যাওয়ার পর থেকেই দাম বেড়েছে চাল থেকে পেঁয়াজের। এবার ভোজ্য তেলের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ২২ শতাংশ। তাই এখন সব ধরনের ভোজ্য‌ তেলের খুচরো দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। এই আবহে আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে চাল, ডাল, তেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। যার জেরে বাজারে গিয়ে গৃহস্থদের নাভিশ্বাস উঠছে জিনিসপত্র কিনতে।

    এখন বাংলাজুড়ে দুর্গাপুজো চলছে। অন্যান্য রাজ্যেও ছোট–বড় দুর্গাপুজো হচ্ছে। তার মধ্যে এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় চাপ বাড়তে শুরু করেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ আতপ চাল রফতানি বন্ধ করা হয়। এখন সেটা উঠে গিয়েছে। সিদ্ধ চালের উপর রফতানি শুল্ক কমেছে। এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জেরে খোলা বাজারে এখন ধান এবং চালের দাম বাড়ছে। পেঁয়াজ রফতানি নির্বাচনের আগে বন্ধ করা হয়। এখন অনুমতি মিলে গিয়েছে। সব মিলিয়ে এখন সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। যা কিনতে গিয়ে আমজনতার পকেটে চাপ বাড়ছে।


    এদিকে বাংলায় দুর্গাপুজোর সময় টাস্ক ফোর্সকে বাজারে দেখা গিয়েছে। কিন্তু দাম বৃদ্ধি ঠেকানো গেল না। শাক–সবজি থেকে মাছ–মাংসের দাম উর্দ্ধমুখীই রয়েছে। তার সঙ্গে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় হেঁসেলে কার্যত আগুন লেগেছে। তবে চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মিল মালিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, ‘‌এই ঘটনায় চাষিরা ধানের দাম বেশি পাবেন। এখন মোটা স্বর্ণ ধানের দাম খোলাবাজারে কুইন্টালে ২০০ টাকা বেড়েছে। গোবিন্দভোগ বেড়েছে ৪০০ টাকা। মিনিকিট চালের দাম কেজিতে ২ টাকার মতো বেড়েছে।’‌ তবে খুচরো দাম বেড়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে মধ্যবিত্তের।

    অন্যদিকে বাজারে এখন যা পরিস্থিতি তাতে সবজি কিনতে গেলে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। ভোজ্য তেলের দাম একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত মানুষের বাজেট বেড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় এমন ঘটনা কপালে ভাঁজ ফেলেছে। বাইরে থেকে কেনা খাবারের দাম বেড়ে গিয়েছে। আবার বাড়িতে রান্নার জন্য ভোজ্য তেল কিনতে গেলেও দাম বেড়েছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে’‌র কথায়, ‘‌পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩৮ টাকা। ফলে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা নেওয়া ঠিক নয়। দুর্গাপুজোর সময় লরি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাই সরবরাহ কমেছে। সবজির দামবৃদ্ধি হয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)