ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছেন চিকিৎসকদের একাংশ। শনিবার দুপুরে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করে নাগরিক সমাজ। দেবীবরণের সন্ধেয় উঠল ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ স্বর। ধর্মতলার ধরনা মঞ্চের কাছে সাদা বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদে শামিল হন আন্দোলনকারীরা। সূত্রের খবর, মালদহে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সুবিচারের দাবিতে সুর চড়ান অনেকেই।
এর আগে বুধবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন ‘অভয়া পরিক্রমা’য় বেরিয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক নামী পুজোমণ্ডপের সামনে সুবিচারের দাবিতে স্লোগান ওঠে। ওই ঘটনায় প্রতিবাদীদের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তবে পরেরদিন ধৃতদের ৯ জনেরই জামিন মঞ্জুর করেন হাই কোর্টের অবকাশকালীন বিশেষ বেঞ্চের বিচারক শম্পা সরকার। শনিবার অবশেষে রবীন্দ্র সরোবর থানা জামিনের নথি দেখে ৯ জনকে ছেড়ে দেয়।
সময় যত গড়াচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁজ। একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন আন্দোলনকারীরা। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার অরন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভালে’র ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। ওইদিন বিকেল চারটে নাগাদ রানি রাসমণি রোডে সকলকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’কে কেন্দ্র করে অযথা ফের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুজোর পর বেশিরভাগ অফিস সোমবার থেকে খুলে যাবে। মঙ্গলবারও সেক্ষেত্রে আরও একটি কর্মব্যস্ত দিনই হতে চলেছে। তাই ‘দ্রোহের কার্নিভালে’র জন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কাও একেবারে এড়ানো যাচ্ছে না।