সোমবারের মধ্যেই বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের পালা শুরু, শহরে কার্নিভালের দিন হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস
আনন্দবাজার | ১২ অক্টোবর ২০২৪
পুজো মিটতেই বাংলা থেকে বর্ষার বিদায়ের ঘণ্টাও বেজে গেল। আগামী সাত দিন রাজ্যের কোথাও আর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দু’দিনের মধ্যেই বাংলার কিছু জায়গা থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পার্শ্ববর্তী বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে ইতিমধ্যে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। আগামী দু’দিনে ওই রাজ্যগুলি থেকে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে। পাশাপাশি বর্ষা বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও সিকিমের কিছু অঞ্চলেও। সাধারণ ভাবে ১০ অক্টোবর থেকে বাংলায় বর্ষা বিদায়ের পালা শুরু হয়। স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা দেরিতেই এ বার বর্ষা বিদায় নিচ্ছে রাজ্য থেকে।
আগামী সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণের কিছু জেলায় দুই-এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে। যদিও ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের আকাশ মূলত শুষ্কই থাকার সম্ভাবনা। সপ্তাহের শেষের কয়েকটি দিন এই জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় পুজোর কার্নিভাল রয়েছে। ওই দিন কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও আপাতত ভারী বৃষ্টির আর কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরের পাঁচ জেলা— দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে কোথাও হালকা, কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের আকাশ মূলত পরিষ্কারই থাকবে। উত্তর দিনাজপুরে রবিবার এবং আগামী শনিবার দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহেও আগামী শনিবার ছাড়া বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
রাজ্যের কোনও জেলাতেই আগামী সাত দিন ঝড়-বৃষ্টি সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা নেই। তবে হালকা বা ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও, সেই সময়ে বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। বর্ষা বিদায়ের পূর্বে বঙ্গোপসাগরে সাধারণত বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। সম্প্রতি তেমনই একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল সাগরে। হাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছিল, আগামী কয়েক দিনেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। এ বার মৌসম ভবনও জানিয়ে দিল, আগামী দু’দিনের মধ্যেই বাংলা থেকে বর্ষার বিদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।