• 'আনিসুর নিজেকে সাগ্নিক বলে পরিচয় দেয়', ত্রিধারা-কাণ্ডে দাবি TMC-র! ‘CPIM মানেই…'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • আসল নাম আনিসুর রহমান। কিন্তু গ্রেফতারির পরে পুলিশের কাছে নিজের নাম সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন। ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো মণ্ডপের কাছে ‘জাস্টিস’-র স্লোগান দেওয়ায় যে নয়জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, তাঁদের একজনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। ‘সূত্র’ উদ্ধৃত করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কী কাণ্ড। মণ্ডপে বিক্ষোভে গ্রেফতার; গতকাল হাইকোর্টে জামিন পেল সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়। আজ থানায় জামিনের নথি পেশের সময় নাম বেরোল আনিসুর রহমান।’ অন্যদিকে, সেই বিষয়টি নিয়ে সিপিআইএমকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য।

    বিষয়টি নিয়ে অবশ্য পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কুণাল যে দাবি করেছেন, তার ‘সূত্র’ হিসেবে সাংবাদিক কমলিকা সেনগুপ্তর পোস্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দেবাংশু অবশ্য কোনও ‘সূত্র’-র উল্লেখ করেননি। তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান শুধু বলেন, ‘পুজো মণ্ডপে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের কাছে নিজের আসল নাম আনিসুর রহমান লুকিয়ে সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় বলে কেন পরিচয় দিয়েছিলেন? সিপিএম মাত্রই কি জন্মগত চিটিংবাজ?’

    এমনিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে যে রায়ের কপি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ‘সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়’ বলে কারও নাম নেই। হাইকোর্টের রায়ের কপিতে জহর সরকার, চন্দ্রচূড় চৌধুরী, কুশল কর, দীপ্তমান ঘোষ, ঋতব্রত মল্লিক, উত্তরণ সাহা রায়, আইসার রহমান, নাদিম হাজারি এবং সুজয় মণ্ডলের নাম আছে। 


    যদিও প্রাথমিকভাবে যখন নয়জনকে গ্রেফতারির খবর ছড়িয়েছিল, তখন ধৃত হিসেবে জহর সরকার, চন্দ্রচূড় চৌধুরী, কুশল কর, দীপ্তমান ঘোষ, ঋতব্রত মল্লিক, উত্তরণ সাহা রায়, নাদিম হাজারি এবং সুজয় মণ্ডলের পাশাপাশি ‘সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়’-দের নাম উঠে এসেছিল। হাইকোর্টের রায়ের কপিতে বাকি আটজনের নাম থাকলেও ‘সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়’-র কোনও উল্লেখ নেই। রায়ের কপিতে ‘আইসার রহমান’ বলে একজনের নাম আছে। 


    কীভাবে সেই বিষয়টি হল, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার ন'জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাই লালবাজারের সেন্ট্রাল লক-আপ থেকে তাঁদের রবীন্দ্র সরোবর থানায় নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যায় জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। আর তারপর আন্দোলনকারীরা ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চেও গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: Junior Doctors Hunger Strike Updates: ‘দেবতাদের’ দেখতে জনস্রোত, অনশনকারীদের নামে পুজো মা দুর্গার কাছে, যোগ আরও ২ জনের
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)