• ৫১৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জন আজই! বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে চলছে দশমীর অনুষ্ঠান...
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • প্রদ্যুত দাস: খাতায়-কলমে গতকাল শনিবার দশমী পড়ে গেলেও বহু জায়গাতেই ভাসান হয়নি গতকাল। হবে আজ, রবিবার। ক্যালেন্ডারে আজই অবশ্য দশমী, যদিও তিথি-বিচারে একাদশী। আজই বিজয়া হবে জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির মা দুর্গা। রাজপরিবারে সদস্যদের উপস্থিতিতে ৫১৫ বছর পুরনো এই পুজো যথারীতি ভালো ভাবে সমাধা হয়ে গেল এবারও।

    অন্যান্য বারের মতো এবারও রাজ পরিবারে সদস্যদের উপস্থিতিতে যথারীতি চলছে জলপাইগুড়ি বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গা পুজো। ৫১৫ বছরে পা দিল এই পুজো।

    পাঁচ শতকেরও বেশি প্রাচীন রাজবাড়ির এই দুর্গাপুজোয় গতকাল সকাল থেকেই  ভক্তদের আনাগোনা লক্ষ্য করে গিয়েছিল। গতকাল সেখানে নবমী ছিল। আজ এখানে দশমীবিহিত পুজো। 

    এ পুজোয় দুর্গা মাকে চারটি গোটা শাড়ি পরানো হয়। পুজোয় মায়ের ভোগ ছিল পাবদা মাছ ও পটল চিংড়ি-সহ পাঁচ রকম মাছের বিভিন্ন পদ। আজ‌ও বলিপ্রথা রয়েছে রাজবাড়ির পুজোয়। পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়া হয়। একসময় নরবলির প্রথা থাকলেও বর্তমানে কুশ ও চালের গুঁড়ো দিয়ে মানুষ তৈরি করে বলি দেওয়া হয়। বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে দুর্গা মা কাঠের রথের উপর বিরাজমান। দশমীতে এই রথের দড়ি টেনেই মাকে বিসর্জন দেওয়া হয় রাজবাড়ি পুকুরে। আজ মাকে ইলিশ মাছের আমিষ ভোগ দিয়ে বিদায় জানানোর পালা। মাকে রথে করেই নিরঞ্জন ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    বিসর্জনের দিন হাজার‌ও মানুষের সমাগম হয় বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে। পুজোর চারদিন রাজ পরিবারের সদস্য হয়ে‌ই এ বাড়িতে থাকেন‌ দেবী দুর্গা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন। এমনকি ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও রাজবাড়ির পুজোয় অংশগ্রহণ করেন বলে জানান রাজ পরিবারের পুরোহিত শিবু ঘোষাল।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)