পুজোর মধ্যে নিজেদের বাড়ির সামনে লাগাতার অবস্থান চালিয়েছেন আর জি কর হাসপাতালে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা ও পরিজনেরা। এ বার সেখানে গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে এলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। সন্তানহারা বাবা-মাকে শুভঙ্কর বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও লড়াইয়ে নেমেছেন। মানুষ সঙ্গে থাকলে বিচার আদায় করে আনা যাবে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের তরফে রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে যে বার্তা দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
নিহত চিকিৎসকের মা ইতিমধ্যে বলেছেন, তাঁদের দুর্গা আগেই বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছে গিয়ে শনিবার সেই সূত্রেই শুভঙ্কর বলেছেন, অত্যন্ত ক্ষমতাশালীর বিসর্জনের বাজনাও মানুষ কখন বাজিয়ে দেন, আগে থেকে সব আন্দাজ করা যায় না! প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে ছিলেন মহিলা কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সুব্রতা দত্ত, সুমন রায়চৌধুরী, পার্থ ভৌমিক, অর্ঘ্য গণ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (শহর) কংগ্রেসের শক্তি মৈত্র প্রমুখ। এর আগে সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পর্যন্ত নানা দলের নেতৃত্বই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অবস্থানে সংহতি জানিয়ে এসেছেন। কংগ্রেসের পুর-প্রতিনিধি পূর্ণিমা কান্দুর আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনার জেরে আজ, রবিবার ঝালদা যাচ্ছেন প্রদেশ সভাপতি।