• গণইস্তফা কল্যাণী মেডিক্যালের চিকিৎসকদের, অনশনে অনড় জুনিয়ররা
    এই সময় | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • আরজি কর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পর গণইস্তফা দিলেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা অংশ। মোট ৭৭ জন সিনিয়র চিকিৎসক রবিবার গণইস্তফা দেন। সোমবার থেকে তাঁরা আর কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, রবিবারও ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, মনের জোর অটুট রয়েছে। তাঁরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ইস্তফাপত্রে লিখেছেন, নিজেদের ১০ দফা দাবি পূরণে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশন চলছে। অনশনরত ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। ডাক্তারদের দাবিগুলো মানুষের উপকারের জন্যেই নেওয়া হয়েছে। অথচ সরকার এই অনশন তুলে নেওয়ার জন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    এরপরেই তাঁরা চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের কাজ করার মতো মানসিক অবস্থা নেই। জোর করে কাজ করলে আমাদের কাজে ভুল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগীদের জীবনসঙ্কট তৈরি হতে পারে। সেই কারণে আমরা গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ যদিও, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘গণইস্তফা’ আদৌ পদত্যাগপত্র হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে না। ব্যক্তিগত ভাবে পদত্যাগ করলে তবেই সেটা গৃহীত হতে পারে।’

    ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আংশিক কর্মবিরতি পালনের ডাক দিয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্যান্য রোগী পরিষেবা বন্ধ থাকবে ওই সমস্ত হাসপাতালে।

    শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক চিকিৎসক অলোক কুমার ভার্মা এবং কলকাতায় অনশনরত চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে রবিবারও অনশন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘অনশন যাঁরা করছেন, অনেকেই শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তাঁদের মনের জোর অটুট রয়েছে। আমরা সকলে লড়াই চালিয়ে যাব।’ রবিবার অরন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
  • Link to this news (এই সময়)