সুখীর জন্মের সময় তার বাবা-মা তার আদরের নাম রেখেছিলেন 'সুখী'। যদিও জীবনে সবার জন্য সব সুখের অংশীদার হওয়া সম্ভব নয়, তবুও সুখী আজ সত্যিই সুখী, কিন্তু তার জীবনের শুরুটা খুব সহজ ছিল না। মাত্র ৫ বছর বয়সেই পোলিওতে আক্রান্ত হন সুখী। সেই ছোট বয়স থেকেই তার জীবনে অসুবিধার পাহাড় জমতে শুরু করে।
কিন্তু এই অন্ধকার সময়ের মধ্যেই সুখীর জীবনে আলো হয়ে আসেন বিনোদ। দুজনের বিয়ের পর থেকেই বিনোদ তার স্ত্রীর শারীরিক অক্ষমতাকে কোনও প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখেননি। আজ তাদের দুজনের দুই সন্তানও রয়েছে। দুর্গাপুজো হল বাঙালির জীবনের এক বিশেষ উৎসব। প্রতিবারের মতো এবারও বিনোদ তার স্ত্রীকে নিজের পিঠে নিয়ে ফালাকাটার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। ফালাকাটার মসলাপট্টি এলাকায় দেখা যায়, বিনোদ নিজের টোটোতে চড়িয়ে স্ত্রীকে মণ্ডপে মণ্ডপে নিয়ে যাচ্ছেন। বিনোদ ও সুখীর মুখে পুজোর আনন্দ স্পষ্ট।