পুলিস সূত্রে খবর, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল, তার জেরে মারধর। এক গোষ্ঠী হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ট্রিটমেন্টের জন্য আসলে আরেক গোষ্ঠী পিছু ধাওয়া করে। তারপর হাসপাতালের ভেতরে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি সেই সময় হাসপাতালের বাবার চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাঁকুড়া থেকে এক যুবক সে হঠাৎ ভিড়ের মাঝখানে পড়ে যায়, এবং তাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আহত যুবকের বাবা সেপ্টেম্বর থেকে অর্থোপেডিকে ভর্তি। এদিন সকালে তাঁকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য এসেছিলেন ছেলে। ট্রমা কেয়ারের সামনে আসতেই আচমকা ১৫-২০ জন এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা শুরু করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে কিছু দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে হাতে হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে ঢুকে পড়ে। এরপরই মারপিট শুর করে। দুই দলের মধ্যে তুমুল ঝামেলা বাঁধে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল এলাকায়। ফের প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা! আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রোগীদের পরিবার থেকে চিকিত্সকরাও।
অন্যদিকে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিরাপত্তার দাবি নিয়ে ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন ১৮৬ ঘন্টা অতিক্রান্ত। তাদের দশ দফা দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। অনশন মঞ্চের সামনে রাখা রয়েছে দুটি হাঁড়ি। যার নাম দেওয়া হয়েছে দুর্নীতির হাঁড়ি। সেখানে মানুষ তাদের অভিযোগ লিখে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। এবার শনিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়া অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে মেডিসিনের ডাক্তার সৌমিত্র ঘোষ জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত সংকটজনক শারীরিক অবস্থা তাঁর। অনুষ্টুপের চিকিৎসার জন্য নয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।