‘নারীর সম্মান রক্ষা করতে পারে পুরুষরাই’, মন্তব্য কল্যাণের, পালটা খোঁচা বিরোধীদের
প্রতিদিন | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
সুমন করাতি, হুগলি: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। বর্তমানে আমরণ অনশনে ৭ জুনিয়র চিকিৎসক। এই পরিস্থিতিতে দেবী দুর্গার আরাধনার মঝে নারী সম্মান রক্ষা প্রসঙ্গে বার্তা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “উৎসবে মেতেছে মানুষ। এই সময়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা অশুভ চিন্তাভাবনা যাদের সেই অশুভ চিন্তা সরিয়ে দাও। নারীর সম্মান এক হাজার পুলিশ দিয়েও রক্ষা করা যায় না, যদি পুরুষরা তাঁকে সম্মান না দিতে পারে। তাই বাংলার সব পুরুষের কাছে আবেদন প্রতিটি মহিলার সম্মান রক্ষা করুন। প্রতিটি মহিলাকে নিরাপত্তা দিন। দুর্গাপুজোর সময় সেই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। বাংলার মেয়েদের এই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তবে মেয়েরা সুরক্ষিত হবে। মা দুর্গার সম্মান শিব করেছিল। মা কালীর সম্মান শিব করেছিল। তবেই না মা, মা হতে পেরেছে। মা সব অশুভ শক্তিকে বিনাশ করো। যারা বাংলাকে কলুষিত করতে চায়, তাদের মনটাকে পরিষ্কার করো।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছেন সিপিত্র নেত্রী দীপ্সিতা ধর। তাঁর কটাক্ষ, “উনি তো ঠিকই বলেছেন। কিন্তু সমাজব্যবস্থা শোধরানোর দায়িত্ব কার? যাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হন, যাঁরা দাঁড়িয়ে বলেন রেপটেপ ছোট ঘটনা, যাঁরা মাইকে বলেন, আমার সরকারকে বদনাম করতে বলা হচ্ছে, বা যে জনপ্রতিনিধিরা এগারো বছরের মেয়ে গণধর্ষণ হয়ে খুন হওয়ার পর সন্দেহ প্রকাশ করেন তার চরিত্র নিয়ে, সমাজের এই অবস্থার জন্য দায়ী তো তাঁরাই। ওই জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের কথা ও কাজের মধ্যে দিয়ে প্রতি দিনই প্রমাণ করছেন, যাঁরা অপরাধী, তাঁদের জন্য সরকার এবং রাজ্যের শাসকদল থাকবে। আগে রাজ্যের শাসকদল নিজেদের পরিবর্তন করুক।” সাংসদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্মশিবির। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পালের কটাক্ষ, “আগে তৃণমূল কর্মীদেরই চারিত্রিক বদলের প্রয়োজন।”