সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সম্পত্তির লোভে বাবা ও মাকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। দশমীর রাতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। আটক করা হয়েছে বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে ও বউমাকে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম নির্মলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী ইলাদেবী। দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। শনিবার দিনভর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি দম্পতির মেয়ে। দাদা-বউদির কাছে জানতে পারেন, বাথরুমে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ছেলে-বউমাই খুন করেছে দম্পতিকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।
শনিবার রাতেই দুর্গাপুরে পৌঁছয় মেয়ে চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদা-বউদির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। রবিবার সকালে বাড়ির সামনে দাদা-বউদিকে গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন চৈতালীদেবী ও প্রতিবেশীরা। পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। পুলিশ ছেলে বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বউমা অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করে। মেয়ে চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “মা-বাবাকে প্রতিদিন মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করত ওরা। সম্পত্তি হাতানোর ছক দীর্ঘদিন থেকে করেছিল।সম্পত্তি হাতিয়েও নিয়েছিল। তার পরও নির্মমভাবে খুন করল। আমরা কঠোর শাস্তি চাইছি।” স্থানীয় বাসিন্দা রুমা দেবনাথ বলেন, “মেয়ের কাছে যেতে দিত না বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। মেয়ের কাছে গেলেই আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতো বিপ্লব আর তার বউ। সেই ভয়ে যেতেও পারতেন না। শেষমেষ সব সম্পত্তি হাতিয়ে দশমীর রাতে খুনই করে দিল। আমরা কঠোর শাস্তির দাবি করছি।”