• পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুতে আরও ঘনীভূত রহস্য, ময়নাতদন্ত এসওপি মেনেই
    এই সময় | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • দু’দিন পরেও ঝালদার কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমার কান্দুর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। তাঁর মৃত্যু নিয়ে ঘনাচ্ছে আরও রহস্য। শুক্রবার রাতে নিজের বাড়ি থেকেই তাঁর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু জেলাজুড়ে গুঞ্জন চলছে, ৪২ বছর বয়সী পূর্ণিমার মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি পরিকল্পিত?জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই সময় অনলাইন-কে বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। ভিডিয়োগ্রাফারের উপস্থিতিতে সমস্ত এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) মেনেই ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট না আসা অবধি কিছু বলা যাবে না। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    ২০২২ সালের ১৩ মার্চ আততায়ীদের গুলিতে খুন হন পূর্ণিমার স্বামী তথা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই মৃত্যু নিয়ে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। এই ঘটনার পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়েন পূর্ণিমা। প্রতিটি মুহূর্তে নিজের দুই সন্তান এবং নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় থাকতেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে নানান আশঙ্কার কথা একাধিকবার বলেছেন তিনি।

    কাকিমার মৃত্যু কিছুতেই স্বাভাবিক নয় বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। শনিবার দুপুরে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় পূর্ণিমার দেহ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিঠুন।

    তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত সঠিকভাবে যাতে হয় তার জন্য এসেছি। এই মৃত্যুর পিছনে বড় কোনও রহস্য রয়েছে। কাকিমার কোনও অসুখ ছিল না। এটা খুনের ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। স্লো পয়জনিং করে খুন করা হয়েছে’। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ঝালদাতেই অন্ত্যেষ্টি করা হয় পূর্ণিমার।

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্ত হলে ভালো হয়। সত্যিটা সামনে আসা উচিত। জেলা বিজেপির তরফ থেকে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার বলেন, ‘এই মৃত্যু নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে তখন তার প্রকৃত তদন্ত হওয়া দরকার। এটি প্রশাসনিক বিষয়। দলের এখানে কিছু করার নেই।’

    তথ্য সহায়তায়: সঞ্চিতা মুখোপাধ্যায়
  • Link to this news (এই সময়)