দুর্গাপুজোর সময়ও জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করেছেন রাজপথে। আমরণ অনশন করতে গিয়ে তিনজন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখন অনিকেত মাহাত, অলোক ভার্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সিনিয়র ডাক্তাররা গণইস্তফা দিয়েছেন। যদিও তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কুণাল ঘোষ বারবার দাবি করেছেন, এই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেপথ্যে কাজ করছে বাম এবং অতিবাম নেতারা। এবার আরও একধাপ এগিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের এবং যাঁরা রাজনীতি করছেন তাঁদের বার্তা দিলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা।
এদিকে একাদশীর দিনেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে যাতায়াতের পথে যানজটের সৃষ্টি হবে। কলকাতা পুলিশ ট্রাফিক সচল রাখতে সব ব্যবস্থা করছে। সাধারণ মানুষকে একবেলা অরন্ধনের আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাম–বাম রাজনীতি করছেন বলেও সরব হন শওকত। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক বলেন, ‘যতই নাড়ো কলকাঠি আবারও ২০২৬ সালে নবান্নে হাওয়াই চটি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় হাওয়াই চটি নিয়ে যতই স্লোগান উঠুক না কেন, রাম–বামের যে রাজনীতি সেটা অন্তত সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে। কারণ গরিব মানুষদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা নেই। ওটি বন্ধ, ল্যাবগুলিতে কাজ হচ্ছে না। ২৯ জন মারা গিয়েছে। তাদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে চলছে সিবিআই তদন্ত করছে। তারপরেও রাজনীতি চলছে।’
অন্যদিকে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘উৎসবে ফিরুন’। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্যান্ডেলের সামনে ভিড়ের ছবি পোস্ট করেন। আর সেখানে লিখলেন, ‘এত মানুষের ভিড় দেখিনি।’ এখন দুর্গাপুজো কার্নিভালের দিন দ্রোহের কার্নিভাল করার পরিকল্পনা করছেন চিকিৎসকরা। এই আবহে শওকত মোল্লার বক্তব্য, ‘এরা অভয়ার বিচার চাইছে না। এরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নোংরামো করছে। তাই যতই নাড়ো কলকাঠি আবারও ২০২৬ সালে নবান্নে হাওয়াই চটি।’
এদিন সিবিআইকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ক্ষতি করতেই যে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়া হচ্ছে সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন শওকত মোল্লা। তাঁর কথায়, ‘সিবিআই কয়েকশো কেসের সমাধান করতে পারিনি। তারপরও সিবিআইয়ের উপর ভরসা আছে আমাদের। অভয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে দেখিয়েছে। এখনও সিবিআই দ্বিতীয় কাউকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করতে পারেনি। তাহলে সিবিআইয়ের উচিত কোর্টকে বলে দেওয়া এই ঘটনায় একজনই ঘটিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমে এই ঘটনায় ফাঁসির দাবি করেছেন। তারপরও কেন এত রাজনীতি? ২০২৬ সালে নবান্নে আবারও হাওয়াই চটি দেখা যাবে।’