‘সরকার আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিলে ভুল করবে’, সুর চড়ালেন কিঞ্জল–দেবাশিস
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
এখন অনিকেত মাহাত, অলোক ভার্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশন করতে গিয়ে। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আমরণ অনশন চলছে। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনজন জুনিয়র ডাক্তার। ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আরও ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। আর তার মধ্যেই এবার কেটে গেল ২১০ ঘণ্টা। টানা ৯ দিনের অনশনে অনেকেই অসুস্থ। আর এই আবহে জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্য সরকারের উদ্দেশে সুর চড়ালেন। যা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
এদিকে একাদশীর দিনেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে যাতায়াতের পথে যানজটের সৃষ্টি হবে। কলকাতা পুলিশ ট্রাফিক সচল রাখতে সব ব্যবস্থা করছে। সাধারণ মানুষকে একবেলা অরন্ধনের আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার রবিবারও অল্পবিস্তর অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে। তবুও তাঁরা অনড় নিজেদের দাবি আদায়ে। শুক্রবার অনশনে যোগ দেন আলোলিকা ঘোড়ুই এবং পরিচয় পাণ্ডা। কিন্তু এই ধরনা কতদিন ধরে চলবে? একটা কি রফাসূত্র বের হবে না? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে এখন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন বিজয়া দশমীর পরিবেশ। তাতে সৌহার্দ্য বিনিময় করেই সবাই এগিয়ে যেতে চান। তাই এবার বাংলার বিদ্বজ্জনরা মধ্যস্থতা করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। রাজ্য সরকার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ইমেল পাঠিয়েছেন বিদ্বজ্জনরা। তার প্রতিক্রিয়া এখনও কোনও পক্ষ থেকেই আসেনি। তবে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন, কবে রাজ্য সরকার আমাদের কথা শুনবে? আমরা বলছি, নিজেদের দাবি আদায়ে আমরা একে একে সকলেই আমরণ অনশনে যোগ দেব।’
এছাড়া আরজি কর হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ–সহ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা আগেই গণইস্তফা দিয়েছেন। এবার দিলেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকার যদি ভেবে থাকে, আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবে তাহলে সেটা ভুল করছে। টানা আন্দোলন করতে গিয়ে শারীরিকভাবে আমরা হয়তো একটু দুর্বল হয়ে পড়েছি। তবে মনোবলের দিক থেকে আমরা অনেকটাই শক্তিশালী। সহপাঠীর বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ময়দান ছেড়ে যাব না।’