সিবিআই চার্জশিটে লম্বা সাক্ষীর তালিকা, ১২৮ জনের মধ্যে পুলিশ–চিকিৎসক আরও অনেকে
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
এখন অনিকেত মাহাত, অলোক ভার্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশন করতে গিয়ে। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আমরণ অনশন চলছে। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনজন জুনিয়র ডাক্তার। ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আরও ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। আর তার মধ্যেই এবার জানা যাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে সিবিআই যে চার্জশিট তৈরি করেছে তাতে সাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ৩৫ জন। আবার সাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন ১৯ জন চিকিৎসকও বলে সূত্রের খবর। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে।
এদিকে একাদশীর দিনেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে যাতায়াতের পথে যানজটের সৃষ্টি হবে। কলকাতা পুলিশ ট্রাফিক সচল রাখতে সব ব্যবস্থা করছে। সাধারণ মানুষকে একবেলা অরন্ধনের আহ্বান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার এই চার্জশিটে সাক্ষীর মধ্যে যেমন পুলিশকর্মী আছেন তেমন পুলিশকর্তাও আছেন। এখানেই শেষ নয়, ১৯ জন চিকিৎসকের নামও আছে। তবে যে পাঁচজন ডাক্তারি পড়ুয়া ময়নাতদন্তে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের নাম নেই সাক্ষীর তালিকায়। তবে এই সাক্ষীর তালিকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবে সিবিআই বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে এখন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন বিজয়া দশমীর পরিবেশ। তাতে সৌহার্দ্য বিনিময় করেই সবাই এগিয়ে যেতে চান। চিকিৎসক এবং পুলিশের কেউ বলতে পারবেন না সিবিআই তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে চার্জশিট তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের উষ্মা দেখা গিয়েছে। তাঁরা এই সিবিআই রিপোর্ট মানেন না। কারণ এখানে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় একমাত্র সঞ্জয় রায়কেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। যা আগে কলকাতা পুলিশ করেছিল। সুতরাং কলকাতা পুলিশের তদন্ত যে সঠিক পথে চলছিল সেটাতেই সিলমোহর দিল সিবিআই।
এছাড়া আরজি কর হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ–সহ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা আগেই গণইস্তফা দিয়েছেন। এবার দিলেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। সিবিআই চার্জশিটে ৩০ জন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের নাম রয়েছে সাক্ষী হিসাবে। এই মামলার মোট সাক্ষীর সংখ্যা ১২৮। টালা থানার কয়েকজন সাব ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলের বয়ান রেকর্ড করা হয়। সিবিআই তা রেকর্ড করেছে তদন্তের স্বার্থে। আর নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে যে তিন চিকিৎসক ছিলেন, তাঁদেরও রাখা হয়েছে। এমনকী ওই রাতে যে চারজন নির্যাতিতার সঙ্গে নৈশভোজ করেছিলেন তাঁদেরকেও রাখা হয়েছে সাক্ষীর তালিকায়।