গৃহস্থের নাম বিমান মজুমদার। কোন্নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রশ্রী এলাকার বাসিন্দা তিনি। দশমীর রাতে পরিবারকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, জানলার গ্রিল ভাঙা। হাট করে খোলা আলমারি। লকার ভেঙে চুরি গিয়েছে লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা। চুরি গিয়েছে নগদ টাকাও।
তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন বিমান। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, পাশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, রাতে দু’জন চোর ওই বাড়িতে ঢোকে। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। বিমান এবং স্থানীয় বাসিন্দা অপু ঘোষ বলেন, ‘‘কোন্নগর অঞ্চলে ইদানিং চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেড়েছে। বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও যাওয়া যায় না। অথচ পুলিশ নির্বিকার।’’
প্রসঙ্গত, পুজোর ঠিক আগেই চন্দননগর পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকার নিরাপত্তা ও নজরদারিতে ‘পিঙ্ক মোবাইল’, ‘গ্রিন উইনার্স’ টিম চালু করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন চুরির মতো ঘটনা বাড়ছে, প্রশ্ন বাসিন্দাদের।