উৎসবে ‘ফুর্তির’ টাকা চাই! অপহৃত ব্যবসায়ীর জামাই, চার দিন পরে বারুইপুরেই উদ্ধার, অবস্থা আশঙ্কাজনক
আনন্দবাজার | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
এলাকার প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ীর জামাইকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেছিল চার দুষ্কৃতী। শ্বশুর দ্বারস্থ হন পুলিশের। শেষমেশ পুলিশের চেষ্টাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন অপহৃত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণে যুক্ত থাকার অভিযোগে চার জনকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করছে পুলিশ।
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, উৎসবের মরসুমে মোটা অঙ্কের টাকার জন্য এলাকার এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর জামাইকে অপহরণের ছক কষা হয়েছিল। ওই ব্যবসায়ী প্রোমোটিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর জামাইকে পঞ্চমীর রাতে নরেন্দ্রপুর বাইপাস লাগোয়া একটি ধাবায় কোনও একটি আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। টোপ দিয়ে সেখান থেকে ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় রানিয়া এলাকায়। তার মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ চায় অভিযুক্তেরা।
শ্বশুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তাঁর জামাইকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে ১১ লক্ষ টাকা। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শেষ পর্যন্ত রানিয়া এলাকা থেকে গুরুতর অবস্থায় অপহৃতকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে মারধর করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যুবককে প্রথমে সোনারপুরের সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা প্রত্যেকেই দাগি আসামি। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। খুন, চুরি, ছিনতাই, অপহরণ-সহ সমাজবিরোধী নানে কাজে যুক্ত থাকার বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন থানায়। চার জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে আদালতে। এ নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (অপরাধ) ফয়জল বিন আহমেদ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’’