নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ মিলল প্রতিবেশীর বাড়িতে! ফরাক্কায় মালিককে গণপিটুনি, পরে ধৃত পুলিশের হাতে
আনন্দবাজার | ১৩ অক্টোবর ২০২৪
প্রতিমা বিসর্জন দেখতে মায়ের সঙ্গে দাদুর বাড়ি বেড়াতে এসেছিল বছর ১২-এর এক শিশুকন্যা। সঙ্গে ছিল ভাইও। রবিবার সকালে সেই নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ মিলল প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা রেল কলোনি এলাকায়। খুনের অভিযোগে ওই প্রতিবেশীকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির সামনে সময়বয়সি কিছু বাচ্চার সঙ্গে খেলছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু পরে বাড়ির লোক এসে তাকে দেখতে না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। কোথায় গেল মেয়ে, খোঁজাখুঁজি শুরু করেন সকলে। অন্য বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যান। তা শুনে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন নাবালিকার পরিবার এবং অন্যান্য গ্রামবাসীরা।
প্রথমে নাবালিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা অস্বীকার করেন ওই প্রতিবেশী। সন্দেহ হওয়ায় তাঁর বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন সকলে। খুঁজতে খুঁজতে শোয়ার ঘরে একটি বস্তা দেখতে পান তাঁরা। বস্তা খুলতেই উদ্ধার হয় নাবালিকার নিহর দেহ। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে বেনিয়া গ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদারের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন সকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় দীনবন্ধুকে। কিন্তু কেন ওই নাবালিকাকে তিনি খুন করলেন, তা এখনও অজানা। পুলিশ খুনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করেছে।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান, একটি শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি তদন্ত চলছে।