• ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণ! লাগাতার হুমকির মাঝেই নির্যাতিতার রহস্যমৃত্যু, খুন নাকি আত্মহত্যা?
    প্রতিদিন | ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • অর্ণব দাস, বারাসত: ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীর বিরুদ্ধে। সে আবার কলকাতা পুলিশের গাড়ি চালক। বিষয়টি যাতে প্রকাশ্যে না আসে তা নিশ্চিত করতে নির্যাতিতাকে লাগাতার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠছিল। এনিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। মৃতার ভাই এনিয়ে হাবড়া থানায় অভিযোগ জানালে কুমড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য সঞ্চিতা বিশ্বাস, তাঁর স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস ও মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    ঘটনার সূত্রপাত দেড় মাস আগে। পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন বছর তেত্রিশের গৃহবধূ। অভিযোগ, সেই সময় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী অর্থাৎ ওই কলকাতা পুলিশের গাড়িচালক জয়ন্ত বিশ্বাস ধর্ষণ করে তাঁকে। এর পর থেকে বিষয়টি যাতে প্রকাশ্যে না আসে তা নিশ্চিত করতে নানা সময়ে নানাভাবে নির্যাতিতার উপর মানসিক চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্চিতার মদত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

    মৃতার ভাইয়ের কথায়, “পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্চিতা বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থাকাকালীন মাস দেড়েক আগে বোনকে ধর্ষণ করে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস। তখন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার পর থেকে বোন মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিল। শ্বশুরবাড়িতেই থাকছিল। গত শুক্রবার গভীর রাতে আমার কাছে ফোন আসলে জানতে পারি বোন শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর জন্য জয়ন্ত বিশ্বাস দায়ী। ওঁর স্ত্রী সঞ্চিতা বিশ্বাস বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মদত করেছিল। শ্বশুর বাড়িতে থাকাকালীন কি করে বোনের মৃত্যু হল এনিয়েও সন্দেহ আছে। পুলিশকে সবটা জানিয়েছি। এর পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে হাবড়া থানার পুলিশ। মৃতার পরিবারের আরও অভিযোগ, ধৃতরাই খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে মহিলার দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে।” ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও।
  • Link to this news (প্রতিদিন)