বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরি, কলকাতা: এবারের বাজেটে সোনা ও রুপোর উপরে আমদানি শুল্ক অনেকটাই কমিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ খুশি করেছিল স্বর্ণ শিল্পমহলকে। কিন্তু করের বোঝা কমানোর পরও প্রায় প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে সোনার দাম। সামনেই ধনতেরাস। সঙ্গে রয়েছে বিয়ের লগনসাও। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্রেতাকে রেহাই দিতে সোনায় জিএসটি কমানোর দাবি উঠছে এবার।
২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে সোনার উপরে ভ্যাট চালু ছিল এক শতাংশ হারে। জিএসটি প্রথা চালুর পর কর ৩ শতাংশে পৌঁছয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সোনার উপর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়েছে। তার জেরে রাতারাতি সোনার দাম গড়ে পাঁচ হাজার টাকা কমেছিল প্রতি ১০ গ্রামে। তা নেমে ৭০ হাজারের নীচে চলে গিয়েছিল। সেই দর তিন মাস কাটতে না কাটতেই ৭৬ হাজার টাকা পেরিয়ে গিয়েছে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জিএসটির হার যদি ভ্যাটের অনুরূপে এক শতাংশে নামিয়ে আনা হয়, তাহলে আরও কিছুটা সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। তাতে বাজার আরও একটু চাঙ্গা হবে। জিএসটির হার যেহেতু নির্ধারিত হয় জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে, তাই এ ব্যাপারে আগামী বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিক কেন্দ্র, চান ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথায়, এখন মধ্যপ্রাচ্যর যুদ্ধের বাতাবরণ সোনার দামে বাড়াচ্ছে। বিশ্বের আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা রয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামের বড় পতনের আশা করছেন না প্রায় কেউই। এক্ষেত্রে সরকারের হাতে দু’টি অস্ত্র আছে। এক, আমদানি শুল্ক, দুই জিএসটির হার। আমদানি শুল্ক নতুন করে কমানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শেষ হাতিয়ার জিএসটি। তা কমালে সোনার খুচরো বাজার কিছুটা চাঙ্গা হতে পারে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এই দাবিতে দরবার করেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও বার্তা আসেনি। তাই আপাতত সরকারের মনোভাবের দিকেই নজর রাখছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।