• বেহাল রাস্তা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাড়োয়া রেলস্টেশনে যাতায়াত
    বর্তমান | ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • শ্যামলেন্দু গোস্বামী, বারাসত: দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাস্তা। রেলস্টেশন যাওয়ার অন্যতম সড়ক ভরে গিয়েছে খানাখন্দে। বৃষ্টিতে জল জমে গর্ত হয়ে উঠছে ক্রমশ মারণফাঁদ। একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে। ঘটনাটি হাড়োয়া স্টেশনগামী রাস্তার। রেলস্টেশনে যাওয়ার রাস্তার হাল কি ফিরবে, কবে সংস্কার হবে বেহাল রাস্তার প্রশ্ন রেলযাত্রী থেকে পথচলতি মানুষজনের।


    দেগঙ্গার হাদিপুর-ঝিকরা আমতলা হাট থেকে ট্রেনলাইনের ধার বরাবর গিয়েছে পাকা রাস্তা হাড়োয় রোড স্টেশনে। দিনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্ক পথচলতি মানুষের। কখন না ঘটে যায় দুর্ঘটনা। প্রাণ হাতেই চলাচল করেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। পাশাপাশি টোটো, অটো থেকে সাইকেল ও বাইক নিয়ে যাতায়াত করতে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শয়ে শয়ে মানুষ যাতায়াত করেন বারাসত-হাসনাবাদ রেল শাখার হাড়োয়া রোড স্টেশনে। কিন্তু, সেই লাইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভরে গিয়েছে খানাখন্দে। একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই বৃষ্টিপাতের জেরে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে পথচলতি মানুষজনের। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা প্রীতম দে বলেন, এই রাস্তার উপর ভরসা করে হাজার মানুষের যাতায়াত। দিনের বেলা যাতায়াত করা গেলেও রাতে যাতায়াত করা ঝুঁকিপূর্ণ। বড় বড় গর্তে জমে রয়েছে জল। অজান্তে কেউ রাস্তা দিয়ে গেলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। মাঝেমধ্যে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার। অন্যদিকে টোটোচালক সুরঞ্জন বৈরাগী বলেন, আমরা সকাল থেকে বহু যাত্রীকে দেগঙ্গার দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি রাস্তা এইভাবেই বেহাল। এক বা দু’দিন নয় মাসের পর মাস ধরে এই অবস্থা। কারও হেলদোল নেই। এই বৃষ্টিতে যাত্রী নিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকির। দুটি গাড়ি যাতায়তের সময় খুবই ভয় হয়। কবে এর মুক্তি হবে জানি না। নিত্যযাত্রী শিক্ষিকা মৌলি চক্রবর্তী বলছেন, এই রাস্তা আমাদের কাছে মারণফাঁদ। বাইক বা টোটো তো অনেক দূরের কথা। সামান্য হেঁটে যাওয়ায় দায়। তবে, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত রেলের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)