• 'সবকটি পাঁড় মাতাল একসাথে আমরণ অনশন করছে', ডাক্তারদের নিয়ে বিস্ফোরক TMC নেতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • আমরণ অনশনে থাকা আরও এক জুনিয়র ডাক্তার গতকাল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। আর এই আবহে এবার অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল নেতার। তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ শাখার আইটি সেলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস গতরাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের 'পাঁড় মাতাল' আখ্যা দিলেন। তাঁর অভিযোগ, আগে থেকেই অত্যধিক মদ্যপান করার জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেরই লিভারের সমস্যা রয়েছে। আগে থেকেই এই সমস্যা থাকার জেরেই অনশন চলাকালীন তাঁদের কারও কারও রক্ত বমি হচ্ছে, কালো মলত্যাগ করছেন।

    নীলাঞ্জন এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই নিয়ে লেখেন, 'এতদিন এত লোকে অনশন করেছে কারুর রক্ত বমি, কালো পায়খানা হয়নি অনশন করতে গিয়ে। কিন্তু ৬-৭ দিন অনশন করেই জুনিয়র ডাক্তারদের এই লক্ষণগুলো দেখা দিচ্ছে কেন? তাও আবার শুধু ছেলেদেরই হচ্ছে, মেয়েদের হচ্ছে না কেন? আর একসাথে কেন হচ্ছে? পূর্ব থেকেই গ্যাস্ট্রিক বা লিভারের সমস্যা কী থেকে হতে পারে? যদি ভীষণ ভাবে অ্যালকোহলিক হয় বা অত্যাধিক মদ্যপান করে। বোঝাই যাচ্ছে সবকটি পাঁড় মাতাল একসাথে বসে আমরণ অনশন করছে!'

    এদিকে টানা অনশনের জেরে গতকালই ধরনা মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক জুনিয়র চিকিৎসক। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়েছে ডঃ পুলস্ত্য আচার্যকে গতকাল এনআরএস হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এর আগে অনিকেত মাহাতো এবং অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই অনশন শুরু করেছিলেন তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। পরে অনিকেত মাহাতো সেই আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর একে একে অনিকেত, অনুষ্টুপ আর এবার পুলস্ত্য অসুস্থ হলেন। মাঝে আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার - পরিচয় পাণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই যোগ দিয়েছেন আমরণ অনশনে।

    প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০ দফা দাবি এখন পেশ করেছেন, তা হল - নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে হবে, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতাগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করতে হবে, হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে হবে, হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে, হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে, দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)