এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুরপ্রধান রিতা দাস বলেন, 'আমিও হিন্দু, আমার বাড়িতে সব পুজো হয়। গত দুই বছর ধরে নিয়ম করে প্রতিমা পুরসভার শ্রমিক দিয়ে ভাসান করানো হয়,কাঠামো জল থেকে তুলেও নেওয়া হয়। তবে গতকাল একটি পুজোকমিটির প্রতিমা,সেই পুজো কমিটির কথায় শ্রমিকরা কেটে কেটে প্রতিমা কে নামিয়ে জলে দিয়েছে। সেই সময় পুরসভারকেও ছিল না। এটা নিয়ে একটা দল রাজনীতি করছে। প্রয়োজনে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, দুবরাজপুরের শ্মশান কালীকে শেকল ও দড়ি বেঁধে বেদি থেকে নামিয়ে বিসর্জন করতে নিয়ে যান দাস পরিবারের সদস্যরা। প্রথা মেনে দুর্গাপুজোর দশমীর পর একাদশীর দিন দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন মা শ্মশান কালীর বিসর্জন হল। প্রতিবছর শ্মশানকালীর বিসর্জন দেখতে দুবরাজপুর শহর ছাড়াও আশেপাশের গ্ৰাম থেকে হাজারে হাজারে মানুষের ভিড় করেন। কথিত আছে শতাব্দী প্রাচীন ধরেই দাস পাড়ার মানুষই এই বিসর্জন করে আসছেন। একসময় ঝাঁটা দেখিয়ে, গালিগালাজ করে মন্দির থেকে মা কে বের করা হত। কিন্তু বর্তমানে সভ্যসমাজে এই রীতি উঠে গেছে। তবে এখনো মা কে শেকল ও দড়ি বেঁধে মাকে বেদি থেকে নামানো হয় এবং বিসর্জন করা হয়।