স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনন্ত মহারাজ, দশমীতে অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় সিতাইয়ের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবা আশ্রমে এসেছিলেন। ধর্মীয় আলোচনাকে কেন্দ্র করে আশ্রমের সন্ন্যাসী বিজ্ঞানানন্দ তীর্থ মহারাজের সঙ্গে অনন্তের ঝগড়া শুরু হয়। তর্কাতর্কির সময় বিজ্ঞানানন্দকে ধাক্কা দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে। অনন্ত মহারাজের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠজনরাও ছিলেন। এমনকী কটুক্তি গালিগালাজও করেন অনন্ত বলে অভিযোগ। এরপরই অনন্ত আশ্রম ত্যাগ করেন।
এরপর স্থানীয় এলাকাবাসীরা অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করেন। পরে পুলিস এসে বিক্ষোভকারীদে বুঝিয়ে শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার হয়নি রাত পর্যন্ত। রাতেই অনন্ত মহারাজকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এবং বিধায়ক উদয়ন গুহ ঘটনার নিন্দা করে বিজেপি সাংসদের শাস্তি দাবি করেছেন। তাঁদের কথায়, এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আশ্রমে ঢুকে এক সন্ন্যাসীকে মারধরের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এদিকে সাংসদের এহেন আচরণ কোনও ভাবে সমর্থন করছে না তাঁর দল বিজেপি। এই নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলা সভাপতি সুকুমার রায়।